Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

ভারতীয় দলের টানা বিপর্যয়েও কোচ গম্ভীরকে সরানো নিয়ে কি ভাবছে বিসিসিআই?

 

Gautam-Gambhir

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৪০৮ রানের লজ্জাজনক হার, তারও আগে টানা পাঁচ টেস্টে পরাজয় এবং দুই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ– সব মিলিয়ে ভারতীয় টেস্ট দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। সামাজিক মাধ্যমে ‘গম্ভীর–হঠাও’ স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছে, বিকল্প হিসেবে ভিভিএস লক্ষ্মণের নামও ঘুরপাক খাচ্ছে। 

তবে বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে গৌতম গম্ভীরকে সরানোর কোনও পরিকল্পনাই নেই। বরং কোচকে আরও সময় দিয়ে দলকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করাই এখন বোর্ডের অগ্রাধিকার। বোর্ডের শীর্ষসূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, “এই মুহূর্তে গৌতম গম্ভীরকে ছাঁটাইয়ের প্রশ্ন নেই। তিনি দলকে নতুন করে পর্যায়ক্রমে গড়ে তুলছেন। তাঁর চুক্তি ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত।” ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ব্যর্থতার পর কোচ পরিবর্তনের জল্পনা কার্যত থিতিয়ে গেল। 

সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের সিরিজ শেষে কোচ গম্ভীর, নির্বাচক কমিটি ও টিম ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে বিসিসিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকবে। সেখানে ট্রানজিশন পর্যায়ে থাকা টেস্ট দলকে কীভাবে পুনর্গঠন করা যায়, সেই বিষয়ে গম্ভীরের মতামতই হবে মুখ্য। গম্ভীরকে বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার বার্তাও স্পষ্ট—তিনি যেভাবে পরিকল্পনা করবেন, সেই মতো দল সাজানো হবে।

গুয়াহাটি টেস্টে হারের পর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই গম্ভীর বলেন, “এটা বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত। আমি শুধু ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতিটাই দেখি। ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের সময়েই ইংল্যান্ডে ভালো ফল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও এশিয়া কাপ জিতেছি। দল এখনও শেখার পর্যায়ে আছে।” অর্থাৎ তিনি ব্যর্থতা স্বীকার করতে নারাজ, বরং সময় চান।

গত বছর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের টেস্ট অবসর টিম ইন্ডিয়াকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। অভিজ্ঞতার ঘাটতি, ট্রানজিশন– সব মিলিয়ে টেস্ট দল তৈরি করতে সময় লাগবে বলেই মত বোর্ডের। পরিসংখ্যান বলছে, গম্ভীরের সময়ে ভারত ১৮টি টেস্টের মধ্যে হেরেছে ১০টি। নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ঘরের মাঠে পরপর সিরিজ হার– যা ভারতীয় ক্রিকেটে ৬৬ বছরে দেখা যায়নি। 

তবুও বিসিসিআইয়ের অবস্থান পরিষ্কার– এই বদলের সময় কোচকে চাপের মুখে ফেললে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। বোর্ড জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের সিরিজ শেষ হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হবে। টেস্ট দলের পুনর্গঠন, ব্যাটিং–বোলিং ভারসাম্য, তরুণদের ধরে রাখা এবং ভবিষ্যতের রোডম্যাপ– সব কিছুই সেখানে আলোচিত হবে।











কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন