সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার দুপুরে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। দুপুর ১২টা ৬ মিনিট নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার গভীরে এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৫.৪।
তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিমাপ অনুযায়ী ভূমিকম্পের তীব্রতা কিছুটা ভিন্ন। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, তাঁদের মাপ অনুযায়ী কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.০৭, আর ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.৫। যদিও এই পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আপাতত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর মেলেনি।
ভূমিকম্পের পর মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় সুনামির আশঙ্কা নেই। ফলে উপকূলবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর আশঙ্কাও আপাতত নেই। ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পাতসীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্পের প্রবণতা এখানে প্রায়শই দেখা যায়। এই অঞ্চল ভূতত্ত্বগতভাবে ভারতের ‘জোন ৫’-এর অন্তর্ভুক্ত, যা ভূমিকম্প-প্রবণতার দিক থেকে সবচেয়ে অস্থির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই একই অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামি হয়েছিল, যার মাত্রা ছিল ৯.২ রিখটার স্কেলে। সেই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিবারের ভূমিকম্প তুলনামূলকভাবে মাঝারি মাত্রার হলেও এর তরঙ্গ দূরবর্তী অঞ্চলেও অনুভূত হতে পারে।
মাঝারি মাত্রার এমন কম্পনে সাধারণত ভবনের ক্ষতি বা হালকা ফাটল দেখা দিতে পারে, তবে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছেন তারা। বর্তমানে দ্বীপপুঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হলেও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানা গেছে।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন