Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

এসআইআর ইস্যুকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমায় সভা, মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর

 

Chief Minister-procession-in-Bangaon

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা হচ্ছে বনগাঁ মহকুমাতেও। মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, এসআইআরকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি অনশন আন্দোলনে বসেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অনশন ঘিরে এলাকাজুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।

এই প্রেক্ষাপটেই এসআইআর বিরোধী কর্মসূচি জোরদার করতে মঙ্গলবার বনগাঁয় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কে জনসভা শেষে চাঁদপাড়া থেকে ঠাকুরনগর পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন তিনি। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অভিযোগ, এসআইআর-কে কেন্দ্র করে ভয় দেখানো হচ্ছে ওপার বাংলার মানুষকে, বিশেষত মতুয়া ও তফসিলি সমাজকে লক্ষ্য করেই এই অভিযানের রূপ দেওয়া হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এলাকায় গিয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

এর আগে মমতা ঠাকুর, জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে পরপর বৈঠক করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে জ্যোতিপ্রিয় অভিযোগ করেন, মমতা ঠাকুরের অনশন চলাকালেই বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বিদেশে সপরিবার ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি তিনি। 

মঙ্গলবারের সভা ও পদযাত্রার প্রস্তুতিতে তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠনকেই সক্রিয় করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার জন্য চাকদা রোডের ধারে প্রতাপগড় মাঠে হেলিপ্যাড প্রস্তুত হচ্ছে। পাশাপাশি বনগাঁ স্টেডিয়াম সংলগ্ন হাইস্কুলের মাঠও পরিদর্শন করেছেন নেতারা। তবে ত্রিকোন পার্কের মতো ছোট্ট জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচি কেন রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

এসআইআরকে কেন্দ্র করে বনগাঁতে যে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে, তা আরও বাড়তে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মমতা ঠাকুরের অনশন মঞ্চে তৃণমূলের থেকেও বেশিবার সিপিএম, কংগ্রেসের নেতা, নেতৃদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। আর সেক্ষেত্রে মমতা ঠাকুরকেও তাঁদের মঞ্চে আহ্বান করতে দেখা গেছে। সেই ঘটনা কি কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে? ‌মতুয়া এলাকায় তৃণমূলের জনমত ধরে রাখতে ও বিরোধী শিবিরকে কোণঠাসা করতে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচি কতটা ফলপ্রসূ হয়, এখন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন