সমকালীন প্রতিবেদন : কেরিয়ারের শুরুতে সেভাবে ছাপ না ফেললেও দিন দিন সাদা বলের ক্রিকেটে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল রোহিত শর্মার ব্যাট। সেই কারণে তাঁকে ‘হিটম্যান’ বলেই চেনে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে শুধু ব্যাটার নয়, ভারতীয় দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবেও দেশকে একের পর এক খেতাব এনে দিয়েছেন রোহিত। সেই যুগ এবার হয়তো শেষ হল। অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। পরিবর্তে শুভমন গিলের হাতে উঠল ক্যাপ্টেন্সির ব্যাটন।
তবে একথা অস্বীকার করা যায় না যে, রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় দল ক্রিকেট বিশ্বে আধিপত্য কায়েম করেছে। বাইশ গজের তীক্ষ্ণ মেধা, শান্ত স্বভাব ও নেতৃত্বগুণ—এই তিনের নিখুঁত সংমিশ্রণে রোহিত শর্মা আজ ভারতের অন্যতম সফল ওডিআই অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ওডিআই অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের স্বর্ণালী কেরিয়ারের দিকে।
ওডিআই ক্রিকেটে রোহিত মোট ৫৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন। এর মধ্যে ৪২টি ম্যাচে জয়, ১২টি ম্যাচে হার, ১টি ম্যাচে ড্র এবং একটি ম্যাচ ফলাফলহীন ভাবে শেষ হয়। অর্থাৎ, তাঁর জয়ের হার ৭২.৩৫ শতাংশ — যা ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বিশ্ব ক্রিকেটেও এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়ের হার, শুধুমাত্র ক্লাইভ লয়েড রয়েছেন তাঁর আগে। তাঁর জয়ের হার ছিল ৭৬.১৯ শতাংশ।
ভারতের অন্যান্য অধিনায়কদের সঙ্গে তুলনা করলে রোহিতের আধিপত্য আরও স্পষ্ট। ওডিআই ক্রিকেটে বিরাট কোহলির জয়ের হার ৬৮.৪২ শতাংশ এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির জয়ের হার ৫৫ শতাংশ। এছাড়াও রোহিতের নেতৃত্বে ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ এবং এবছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত। ২০২৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপেও দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন শর্মাজি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রোহিত কি আগামী ওডিআই বিশ্বকাপ খেলবেন? সূত্রের খবর, নির্বাচকরা এখন থেকেই ২০২৭ সালের একদিনের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল সাজাতে চাইছেন। সেই কারণেই গিলকে এখন থেকেই নেতৃত্বে আনা হচ্ছে, যাতে আগামী প্রজন্মের দলকে তিনি গড়ে তুলতে পারেন।
যদিও বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে আপাতত কোনও প্রশ্ন নেই। তবে আগামীতে তাঁদের পারফরম্যান্স ও দলের প্রয়োজনের দিকে তাকিয়ে বাদবাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন