Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত সাংসদ- বিধায়ক, উত্তপ্ত নাগরাকাটা

 

Attacked-MP-MLA

সমকালীন প্রতিবেদন : প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মঙ্গলবার নাগরাকাটার বামনডাঙা এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয় একদল দুর্বৃত্ত। রক্তাক্ত হন সাংসদ খগেন মুর্মু, ভাঙচুর করা হয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের গাড়ি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সাফাই দিয়েছে শাসক দল।

সূত্রের খবর, নাগরাকাটার ধস ও বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে মঙ্গলবার বিকেলে পৌঁছান মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখছিলেন। সেই সময় হঠাৎই নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে পিছন দিক থেকে এসে এক ব্যক্তি শঙ্কর ঘোষকে ধাক্কা মারে। মুহূর্তের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগ, এরপরই একদল যুবক তাঁদের লক্ষ্য করে লাঠি, জুতো ও পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। শঙ্কর ঘোষের গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়। সাংসদ খগেন মুর্মুকে লক্ষ্য করে হামলা হলে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, কপাল ও চোখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শঙ্কর ঘোষও প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে গাড়ির দিকে ফিরে আসেন।

ঘটনার পর বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষ বলেন, “দিদির সৈনিকরাই হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই আমাদের উপরে হামলা হয়েছে, অথচ তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাব, কারণ তারা আমাদের উপরে হামলা হতে দেখে পাশ কাটিয়ে চলে গেছে। এভাবেই যদি পুলিশ কাজ করে, তবে পরবর্তী প্রজন্ম শিখবে কীভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন থাকা যায়।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “আজ নাগরাকাটায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সাংসদ খগেন মুর্মু। এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই, দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে। উত্তরবঙ্গের এত বড় ক্ষয়ক্ষতির পরেও মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত, আর তাঁদের দলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে।” 

যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর বক্তব্য, “আমরা এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না। তবে যারা এসেছিলেন তাঁরা স্থানীয় মানুষকে চেনেন না। কে তৃণমূল, কে বিজেপি বা সিপিএম — তাঁরা বুঝবেন কীভাবে? যাঁরা চড়াও হয়েছেন, তাঁরা কারও দলীয় পতাকা নিয়েও আসেননি। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে মানুষকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে, আর সেই কারণেই জনরোষ তৈরি হয়েছে।”

এই ঘটনার পর নাগরাকাটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্লাবিত এলাকার দুর্দশা দেখতে গিয়ে এমন হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র তরজা। বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার, অন্যদিকে শাসক দলের দাবি – এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, রাজনীতি নয়।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন