সমকালীন প্রতিবেদন : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার প্রকাশিত হল ২০২৩ সালের প্রাথমিক টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টের ফলাফল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যাবে ফল। দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই এই ফলাফল প্রকাশ হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের মুখে ফুটেছে প্রত্যাশার হাসি।
পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের এই প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মোট ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪ জন। অর্থাৎ মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ২.৫ শতাংশ সফল হয়েছেন। প্রথম দশে স্থান পেয়েছেন মোট ৬৪ জন পরীক্ষার্থী।
এই কম সাফল্যের হার নিয়ে একদিকে যেমন বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই, তেমনি যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ফলাফল দেখতে পরীক্ষার্থীদের পর্ষদের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষাজগতে এসেছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর। পুজোর আগেই ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য অর্থদপ্তর থেকে ছাড়পত্র মিলেছে। এই পদক্ষেপকে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বড় স্বস্তির খবর হিসেবেই দেখা হচ্ছে। শিক্ষাদপ্তর শীঘ্রই এই পদগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরীক্ষার্থীদের একাংশের মতে, “ফলাফল প্রকাশ হওয়ায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি। এখন সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি – দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হোক।” প্রাথমিক টেটের ফলাফল প্রকাশ ও বিপুল সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের অনুমোদন – এই দুই খবরে মিলেছে নতুন আশার বার্তা। শিক্ষকতার স্বপ্ন দেখা হাজার হাজার প্রার্থীর জন্য দুর্গাপুজোর আগে এ যেন এক আনন্দবার্তা।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন