সমকালীন প্রতিবেদন : দেশের সপ্তদশ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন এনডিএ প্রার্থী তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে তিনি ১৫২ ভোটে পরাজিত করলেন। রাধাকৃষ্ণণ পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট, আর সুদর্শন রেড্ডির ঝুলিতে গিয়েছে ৩০০ ভোট। সংসদের দুই কক্ষেই এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রাধাকৃষ্ণণের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না। তবে আসল কৌতূহল ছিল ভোটের অঙ্ক ও সম্ভাব্য ক্রস ভোটিং নিয়ে। ফলাফলে দেখা গেল, এনডিএ নিজের ভোট অটুট রাখার পাশাপাশি কিছু অতিরিক্ত সমর্থনও পেয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ হয়। প্রথম ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল কেবলমাত্র সাংসদদের। লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৭৮১ আসনের মধ্যে শূন্যপদ থাকায় কার্যত ৭৭০ জন সাংসদই ভোটার ছিলেন। জয় নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিল ৩৮৬ ভোটের।
ভোট হয় একক হস্তান্তরযোগ্য পদ্ধতিতে। সাংসদরা ব্যালট পেপারে প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দের প্রার্থীর নাম চিহ্নিত করেন। শেষ পর্যন্ত প্রথম পছন্দের ভোটেই জয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে যায়। বিজেডি ও বিআরএস ভোটগ্রহণে অংশ নেয়নি। শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র সাংসদ হরসিমরৎ কউর বাদলও বন্যার কারণে ভোট দিতে আসেননি। ফলে কার্যকর ভোটার সংখ্যা আরও কমে গিয়েছিল।
এনডিএ-র হাতে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ৪২৫ আসন থাকায় রাধাকৃষ্ণণের জয় অনিবার্যই ছিল। তার উপর ওয়াইএসআর কংগ্রেস আগেই এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থনের ঘোষণা করে। ফলে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভোট পান তিনি। ভোটফল ঘোষণার পর বিরোধী শিবির দাবি করে, তাঁদের সব সাংসদই ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘৩১৫ সাংসদের শতভাগ উপস্থিতি নজিরবিহীন। বিরোধী ঐক্য অটুট থেকেছে।’’ তবে সংখ্যার হিসাবে এই দাবির সঙ্গে কিছু ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে অসুস্থতার কারণে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে আগামী পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ। এনডিএ সমর্থিত জগদীপ ধনখড়ের পর আরেক এনডিএ প্রার্থীই দেশের উপরাষ্ট্রপতির আসনে বসলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন