Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাড়িতে বসে বিরক্ত ঋষভ এবার চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে মরিয়া

 

Rishabh Pant

সমকালীন প্রতিবেদন : গত মাসে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে পায়ের পাতায় চোট পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। তাঁর পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছিল। সেই চোটের জেরে টানটান সিরিজের শেষ ম্যাচেও খেলতে পারেননি তিনি। এখন কেমন আছেন পন্থ? কবে তাঁকে আবার মাঠে ফিরতে দেখা যাবে? সেই নিয়ে এবার শুরু হল নতুন জল্পনা।

আসন্ন এশিয়া কাপে যে পন্থ খেলবেন না, তা একরকম নিশ্চিত। তবে পন্থের পায়ের চোট ঠিক কেমন আছে? নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পন্থ সম্প্রতি নিজের পায়ের একটি ছবি পোস্ট করেন। পন্থের পায়ে এখনও ব্যান্ডেজ করা। নিজের পরিস্থিতিতে খানিকটা হতাশা ও বিরক্তিই প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পন্থ ছবির ক্যাপশনে লেখেন, 'আর কতদিন যে এই পরে কাটাতে হবে।'  

উল্লেখ্য, ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্টে ক্রিস ওকসের বলে রিভার্স স্যুইপ মারতে গিয়ে পন্থ ব্যাটে বল সঠিক সংযোগ ঘটাতে পারেননি। বল পন্থের পায়ে গিয়ে সজোরে লাগে। সেই আঘাতেই পন্থের মেটাটার্সাল হাড়ে চিড় ধরেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই চোট সারাতে তাঁর মোটামুটি ছয় সপ্তাহের রিহ্যাবের কথা জানানো হয়েছিল। তিনি সেই সফরের খানিকটা কাটিয়ে ফেলেছেন, তবে এখনও বেশ খানিকটা সময় বাকি। আপাতত বেশ খানিকটা সময় মাঠের বাইরেই হয়তো থাকবেন পন্থ। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তিনি ফিরতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয় হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, মাঠে নিজের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তো তিনি নজর কাড়েনই। তবে বর্তমানে মাঠের বাইরেও নিজের এক কর্মকণ্ডে পন্থ সকলের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন। নিজের এই খারাপ সময়ের মধ্যেও এক দুঃস্থ ছাত্রীর কলেজে ভর্তির পুরো টাকা দিলেন ভারতীয় দলের তারকা উইকেটকিপার। 

কর্নাটকের বাগলকোট জেলার এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে জ্যোতি কানাবুর মাধ। কলেজের যোগ্যতা অর্জন পরীক্ষায় ৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি, তাও বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। জ্যোতির স্বপ্ন ছিল কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়াশোনা করবেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থনৈতিক অবস্থা। জ্যোতির বাবা তীর্থাবা কানাবুর মাধের পক্ষে কলেজে ভর্তির ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছিল না। 

সেই ঘটনা ঋষভ পন্থের কানে পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে জ্যোতিকে ৪০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার। আইপিএলে রেকর্ড ২৭ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। আর তিনিই যেভাবে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিলেন, তাতে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন