সমকালীন প্রতিবেদন : প্রায় আট ঘণ্টা টানা তল্লাশির পর অবশেষে পেট্রাপোলের মুদ্রা ব্যবসায়ী আমির আলি শেখকে তার বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে পেট্রাপোল থানার পুলিশ। একইসঙ্গে গাইঘাটা থানার ছেকাটি এলাকা থেকেও এক দম্পতিকে আটক করে পেট্রাপোল থানায় আনে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) ও রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ওই দম্পতির নাম আলম মণ্ডল ও মিনি মণ্ডল। সূত্রের খবর, গাইঘাটা ও পেট্রাপোলে এই অভিযান একই ঘটনার সঙ্গেই যুক্ত।
শনিবার সকাল থেকে পেট্রাপোলে আমির আলি শেখের বাড়িতে টানা তল্লাশি চলে। অবশেষে রাতে তাকে থানায় নিয়ে আসে এনআইএ ও এসটিএফের প্রতিনিধি দল। যদিও কেন তাকে আটক করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি আমির আলি। এর কিছুক্ষণ পর গাইঘাটার ছেকাটি এলাকা থেকেও অমল মণ্ডল ও তার স্ত্রী মিনি মণ্ডলকে থানায় আনা হয়।
অমল মণ্ডলের স্ত্রী মিনি মণ্ডল জানান, “ভোরবেলা হঠাৎ আমাদের বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। কিছু না বুঝেই আমাকে আর আমার স্বামীকে থানায় নিয়ে আসে। আমার স্বামী কোনও কাজ করে না। আগে মাঠে চাষ করত, পরে জামাকাপড়ের ব্যবসা করত। কেন তাকে আটক করা হল, আমি জানি না।”
ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেয়নি এনআইএ বা এসটিএফ। তবে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মুদ্রা ব্যবসা কিংবা আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে কোনও অনিয়ম যুক্ত থাকতে পারে। যদিও অভিযানের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
ফলে পেট্রাপোল থেকে গাইঘাটা—একই ঘটনার সূত্র ধরে দুই জায়গায় একযোগে অভিযান চালানোয় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এনআইএ ও এসটিএফের এই পদক্ষেপে আরও বড় কোনও চক্রের খোঁজ মিলতে পারে।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন