Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়ালের মাধ্যমে ত্বকচর্চা এখন জনপ্রিয় হচ্ছে

 ‌

Microcurrent-facial

সমকালীন প্রতিবেদন : কারেন্ট দিয়ে ফেশিয়াল! পুজোর আগে নতুন ত্বকচর্চা ট্রেন্ডিংয়ে। এবার কি কারেন্টের শক খেতে হবে? কিভাবে হয় এই গোটা বিষয়টা? রিস্ক কতটা? সবাই কী এই ফেশিয়াল করাতে পারবেন? খরচ কত? পুজোর আগে এই ফেসিয়াল করাতে গিয়ে নিজের বিপদ হবে না তো? পুরোটা জেনে এগোন।

ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা তো দূর হবেই, ত্বক টানটান ও জেল্লাদারও হয়ে উঠবে। তার জন্য আলাদা করে মাস্ক বা ক্রিম দিয়ে মালিশ করার দরকারই পড়বে না। পুজোর সময় আপনি হয়ে উঠবেন সকলের মধ্যমণি। শুধু একটা তরঙ্গ খেলে যাবে আপনার গোটা মুখ জুড়ে। গালের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত হালকা করে ডিভাইসটি বুলিয়ে দিলেই উঠে যাবে দাগছোপ। ব্যস কেল্লাফতে। বর্তমানে এই ধরনের ফেশিয়াল খুব জনপ্রিয়। 

কী এই মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল? সাধারণ ফেশিয়ালের থেকে অনেকটাই আলাদা এর প্রক্রিয়া। ত্বকের একেবারে গভীর থেকে ময়লা, মৃত কোষ টেনে বার করা যায় এতে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা, দূষণ, চারপাশের ধুলোবালি এবং মেকআপের উপাদান থেকে ত্বকের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করার পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ডিপ ক্লিনজিং’। 

মাইক্রোকারেন্ট সেই কাজটিই করে কিন্তু অন্য ভাবে। এই পদ্ধতিতে ফেশিয়াল মুখের পেশীগুলিকে উদ্দীপিত করে এবং অনেকটাই "ওয়ার্কআউটের" মতো কাজ করে, যার ফলে পেশীগুলি টোন হয় এবং ঝুলে পড়া স্থানগুলি উপরের দিকে উঠে যায়। তবে এই ফেশিয়ালে সাধারণত ব্যথা হয় না। মাঝে মাঝে হালকা টান বা ঝিঁঝিঁ ধরার অনুভূতি হতে পারে, তবে তা দ্রুত কেটে যায়।

সাধারণ ফেশিয়ালে হাতের তালুতে চাপ দিয়ে মুখে ধীরে ধীরে মালিশ করা হয়। কিন্তু মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়ালে সবটাই হয় যন্ত্রের সাহায্যে। চক্রাকারে যন্ত্রটি গালে, কপালে, নাকের দু’পাশে ঘোরালে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্র থেকে যত ধুলোবালি, ময়লা, মৃত কোষ সব টেনে বার করে আনবে। কুঁচকে যাওয়া চামড়া টানটান করবে। এমনকি, ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে নাকি বিশেষ ভূমিকা নেবে। চিকিৎসার পরে কোলাজেন বৃদ্ধির উপযোগী সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করতে বলা হয়। ভারতের অনেক সালোঁতেই এই ফেশিয়াল করানো হয়। খরচ পড়ে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে।

মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল হঠাৎ কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠল ? ৮০-র দশকে ফেশিয়াল প্যারালাইসিস সারাতে মাইক্রোকারেন্ট থেরাপি করতেন চিকিৎসকেরা। বর্তমানে এই ধরনের প্রক্রিয়া অ্যান্টি-এজিং থেরাপির কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। বলিউড থেকে টলিউড অনেক তারকাই এখন এই ধরনের থেরাপির দিকে ঝুঁকছেন। কম সময়ে মুখের ক্ষত ঢেকে ফেলতে এটি নাকি খুবই কার্যকরী প্রক্রিয়া। তাই কমবয়সিরাও এই ফেশিয়ালে আকৃষ্ট হচ্ছেন। 

এবার প্রশ্ন হল মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল কী সবার জন্য নিরাপদ ? দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থের তথ্য অনুযায়ী, মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল সবার জন্য নয়। এই পদ্ধতিতে চটজলদি ত্বকের ক্ষত ঢাকা যায় ঠিকই, কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে তা জানা যায়নি। রিপোর্ট আরও বলছে, হার্টের রোগী বা যাঁদের পেসমেকার বসানো আছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগী, অন্তঃসত্ত্বা, হরমোনের থেরাপি করাচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা এই থেরাপি একেবারেই করাবেন না। 

আগে লেজার চিকিৎসা অথবা বোটক্স করালে, পরে মাইক্রোকারেন্ট থেরাপি না করাই ভাল। যন্ত্র কিনে এই ধরনের ফেশিয়াল বাড়িতে করতেও নিষেধ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সামান্য ভুলে ত্বকের বড় ক্ষতি হতে পারে। পুজোর সময় কী আর এতো যুক্তি খাটে। সাবধানতা মেনে মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল আপনার ত্বককে করে তুলতে পারে সবার থেকে একেবারে আলাদা।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন