সমকালীন প্রতিবেদন : পুনর্গঠন করা হলো সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘ গোসাই পরিষদ। শনিবার ঠাকুরবাড়িতে আয়োজিত এক সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মতুয়া প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের পুনর্গঠনের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে একাধিক দাবি তুলে ধরা হলো।
সভা শেষে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে গোসাই পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিক দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি করা হয়, রাজ্যে যেমন ইমাম ভাতা ও পুরোহিত ভাতা চালু রয়েছে, তেমনই মতুয়া সম্প্রদায়ের মূল ধর্মগুরু পাগল, গোসাইদেরও অবিলম্বে ভাতা চালু করতে হবে। পাশাপাশি, মতুয়া ওয়েলফেয়ার বোর্ডে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুদান বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
মতুয়া মহাসংঘ সূত্রে জানা গেছে, একসময় এই বোর্ডে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হলেও বর্তমানে তা বন্ধ। তা অবিলম্বে পুনরায় চালুরও দাবি জানানো হয়। পুনর্গঠিত গোসাই পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত বাইন কেন্দ্রীয় সরকার ও আরএসএসের ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি স্পষ্ট জানান, “আমরা একপক্ষ, তা হলো মতুয়া। সেটাই আমাদের পরিচয়।”
অন্যদিকে, সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক ড: সুকেশ চন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, “তিন দশক ধরে অধিকাংশ মতুয়া রাজ্যের শাসক দলের পাশে থেকেছে। সরকার গঠনে আমাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। অথচ আমাদের প্রাপ্য দাবি পূরণ হয়নি।” পাশাপাশি তিনি সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে বলেন, “তিনি যদি নিজের ভুল স্বীকার না করেন, তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে তার খেসারত দিতে হবে।”
ঠাকুরবাড়ির দুই সদস্য সুব্রত ঠাকুর এবং শান্তনু ঠাকুরের মধ্যেকার বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসায় সেব্যাপারে এদিন গোসাই পরিষদের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়। মতুয়া মহাসংঘের গোসাই পরিষদের পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে ঠাকুরনগরে রীতিমতো উৎসবের আবহ তৈরি হয়। এদিন রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিত হয়ে নতুন কমিটির প্রতি সমর্থন জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন