Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আইপিএল হেরেও বিদেশে চ্যাম্পিয়ন হল নাইট রাইডার্স

 

Knight-Riders

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর করা হয়েছিল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ডোয়েন ব্র্যাভোকে। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু মেন্টরের ভূমিকায় হতাশার কেটেছিল ব্র্যাভোর। তাঁর থেকে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। এর অন্যতম কারণ, গৌতম গম্ভীরের মেন্টরশিপে দীর্ঘ ১০ বছর পর ২০২৪ সালে ট্রফি জিতেছিল কেকেআর। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা প্লে-অফেই যেতে পারেননি। 

আগামী মরসুমে কেকেআরে কোন ভূমিকায় থাকবেন ডিজে ব্র্যাভো, তা নিশ্চিত নয়। তবে নতুন ভূমিকায় ট্রফি জিতলেন ব্র্যাভো। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এই ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন গায়ানার অধিনায়ক ইমরান তাহির। তবে ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার বাড়তি সুবিধা নিতে পারেনি তারা। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আন্দ্রে রাসেল ফেরান গায়ানার ওপেনার কুয়েন্টিন স্যাম্পসনকে। 

এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়ে একটা সময় ৬৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলে অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। শাই হোপ, মইন আলি, শিমরন হেটমায়ারের মতো ক্রিকেটার থাকলেও তাঁরা বিশেষ কিছু করতে পারেনি। শেষের দিকে ইফতিকার আহমেদ ৩০ এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ২৫ রানের সৌজন্যে ২০ ওভারে ১৩০ রান করেন তাঁরা। নাইটদের পক্ষে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তারকা সৌরভ নেত্রভালকর পান ৩ উইকেট। আকিল হোসেনের শিকার দু’টি উইকেট। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই নাইট ওপেনার কলিন মুনরো এবং অ্যালেক্স হেলস। ১৫ বলে ২৩ রানে সাজঘরে ফেরেন মুনরো। ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হেলসও। এরপর মাত্র ১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ড্যারেন ব্র্যাভো করেন ২২ রান। মিডল অর্ডারে সুনীল নারিন ২২ এবং কায়রন পোলার্ড ২১ রানের নির্ভরযোগ্য ইনিংস খেলেন। 

একটা সময় ১১৪ রানে ৪ উইকেট ছিল নাইটদের। কিন্তু এরপরেই ক্লাইম্যাক্স! পরপর তিন উইকেট হারিয়ে ত্রিনবাগোর স্কোর হয় ৭ উইকেটে ১১৬ রান। রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে ৭ বলে ১৬ রানের সংক্ষিপ্ত অথচ ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন হেসন। ১৮তম ওভারে একটি ছক্কা এবং একটি চার মেরে ১২ বল বাকি থাকতেই জয় এনে দেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮, ২০২০ সালের পর ফের একবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতলেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। ম্যাচ শেষে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোচ ডোয়েন ব্র্যাভো বলেন, ‘টিমে কায়রন পোলার্ড, নিকোলাস পুরান, সুনীল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেলের মতো ক্রিকেটার থাকলে অর্ধেক কাজ সেখানেই শেষ হয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ড্রেসিংরুমে ভালো পরিবেশ ধরে রাখা। ওদের অভিজ্ঞতায় ভরসা রেখেছিলাম। সত্যি বলতে ফাইনালে নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। এই মুহূর্তে দুর্দান্ত লাগছে।’






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন