সমকালীন প্রতিবেদন : পুজোর আগে বাংলার মানুষের জন্য কেন্দ্রের তরফে এলো বড় উপহার। বৃহস্পতিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে (ন্যাশনাল লাইব্রেরি) আয়োজিত “নেক্সট জেন জিএসটি” শীর্ষক আলোচনাসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করলেন, বাংলার একাধিক ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর জিএসটি হ্রাস করা হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মহালয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে কার্যকর হবে সংশোধিত জিএসটি।
অর্থমন্ত্রীর কথায়, “অনেক দিন ধরেই এই সংশোধন নিয়ে ভাবনা চলছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশেষভাবে চেয়েছিলেন, মহালয়ার পর মাতৃপক্ষ শুরু হোক নতুন জিএসটির মাধ্যমে। বাংলার পুজোই এই সিদ্ধান্তের প্রেরণা।”
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় বাংলার ১১টি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও পণ্যের উপর জিএসটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে— শান্তিনিকেতনের চামড়ার জিনিস, বাঁকুড়ার টেরাকোটা, মেদিনীপুরের মাদুর, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, দক্ষিণ দিনাজপুরের কাঠের মুখোশ, সোলার সামগ্রী, নকশিকাঁথা, চটের ব্যাগ, হোসিয়ারি ও রেডিমেড পোশাক শিল্প, বর্ধমান ও অন্যান্য জেলার শোলার সামগ্রী ও হস্তশিল্পএবং মালদার আমজাত পণ্য। এগুলি সবার জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর দার্জিলিঙের চা ১৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, এই সিদ্ধান্তে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে শান্তিনিকেতনের চর্মশিল্প, বাঁকুড়ার মৃৎশিল্প, মেদিনীপুরের মাদুর, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, দিনাজপুরের কাঠের মুখোশ ও নকশিকাঁথা শিল্পীরা সরাসরি লাভবান হবেন। একইসঙ্গে দার্জিলিঙের চা-শিল্প, মালদার আম ও রাজ্যের পোশাক শিল্পও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নতুন গতি পাবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাংলা তথা ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আগেই সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতেই এই পদক্ষেপ।” পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তিনি ব্যাখ্যা করেন, দ্বিতীয় প্রজন্মের জিএসটি বা নেক্সট জেন জিএসটি চালু হলে মাত্র দুটি স্তরের কর ব্যবস্থায় কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও স্বস্তি আসবে।
সরকারের আশা, এই নতুন জিএসটি বাংলার মানুষের উৎসবের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলবে। মহালয়ার পর থেকেই পুজোর বাজারে মানুষ আরও স্বাচ্ছন্দ্যে পছন্দের জিনিস কিনতে পারবেন। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, “নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আর বাধাধরা কেনাকাটা করবে না, মন খুলে উনডো শপিং করবে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন