সমকালীন প্রতিবেদন : বিশ্বজুড়ে যখন একের পর এক অস্থিরতার ছবি সামনে আসছে—শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি, রাশিয়ার যুদ্ধ, ইজরাইলের সংঘাত কিংবা প্রতিবেশী নেপালের অশান্তি—ঠিক সেই সময়ে বিশ্বশান্তি ও পরিবেশরক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিতে এক অনন্য পদক্ষেপ করলেন বনগাঁর যুবক তাপস কান্তি হালদার।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছে। লক্ষ্য—ভারত পরিক্রমা। দুই চাকার বাহনে একাই এই দীর্ঘ সফরে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। প্রায় ষাট দিন ধরে চলবে এই সফর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি ফিরবেন ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর দুপুর দুটো নাগাদ। এই সফরে তাপস কান্তি হালদার ঘুরবেন ভারতের মোট ২৮টি রাজ্য ও প্রতিটি রাজ্যের রাজধানী শহর। রাজধানীর পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাঁর সফরসূচিতে। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন।
তাপসের এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে দুটি বড় বার্তা—
১. যুদ্ধ, অশান্তি ও সন্ত্রাসের আবহে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া বিশ্বশান্তির বার্তা।
২. পরিবেশ সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা, বিশেষত বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি।
তাঁর বক্তব্য, “আজ যখন দুনিয়াজুড়ে যুদ্ধ ও সহিংসতা মানুষকে ভীত করছে, তখন শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস ও বিশ্ব উষ্ণায়ন আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করাই আমার লক্ষ্য।”
তাপস কান্তি হালদারের এই সফর কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নয়। সমস্ত খরচই তিনি নিজেই বহন করছেন। থাকার ব্যবস্থা, যাত্রাপথের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, এমনকি বাইকের যত্ন—সবই তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে।
বনগাঁবাসীর কাছে তাপসের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই রবিবার সকালে তাঁর যাত্রার শুরুতে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা জানান। স্থানীয় মানুষজনের আশা, তাঁর এই উদ্যোগ দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন