Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

জীবনে 'সফল' হওয়ার চাবিকাঠি আছে আপনারই হাতে

 ‌

Success-of-key

সমকালীন প্রতিবেদন : সাক্সেসফুল হওয়ার সহজ উপায়! প্রথম দেখে নিন, আপনি কতটা সুশৃঙ্খল? জানেন তো সুশৃংখল হতে গেলে কোন কোন দিকে নজর দেওয়া জরুরী? জানলে 'সফল' হওয়ার চাবিকাঠি থাকবে আপনার হাতে। কাজটা কঠিন, কিন্তু এমন কয়েকটা পয়েন্টের দিকে নজর দিতে বলব, যাতে আপনি খুব সহজেই সুশৃংখল জীবন যাপন করতে পারেন। নিজেকে শাসন করে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার জন্য দরকার দীর্ঘ অভ্যাস, নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধে জেতার কিছু রণকৌশল। কি সেই স্ট্র্যাটেজি? থাকছে বিস্তারিত আলোচনায়।

সফল হওয়া সোজা কথা নয়। তবে তার চেয়েও কঠিন হল সেই সাফল্যকে ধরে রাখা। গুণীজনেরা বলেন, সাফল্যের প্রথম ধাপ অনুপ্রেরণা হলেও সাফল্যে টিকে থাকার জন্য শৃঙ্খলা প্রয়োজন। যে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে ভয় পায় মানুষ। তবে খুব ছোটখাটো কয়েকটা বিষয়ের দিকে নজর রাখলেই পুরো প্রসেসটা অনেক সোজা হয়ে যাবে। প্রথমে যেদিকে নজর দেবেন, সেটি হল –

লক্ষ্য বা টার্গেট : প্রথমে ভাবুন আপনি কি চাইছেন? আগে সেই লক্ষ্য সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণা থাকা দরকার। তাই আগে লক্ষ্যস্থির করুন। সেখানে যেন কোনও ধোঁয়াশা না থাকে। কোথায় যেতে হবে সেটাই যদি না জানেন, তবে রাস্তা বাছবেন কী করে? লক্ষ্যে এগিয়েই বা যাবেন কী করে। তখন বিষয়টা অসুবিধার হয়ে দাঁড়াবে। তাই আগে টার্গেটে ফোকাস করুন। ধৈর্য ধরুন। আর অবশ্যই নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকুন।

রুটিন : রুটিন মেনে কাজ করুন। একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখবেন, ধারাবাহিকতা না থাকলে সাফল্যকে ছোঁয়া মুশকিল। তাই নিজের জন্য আগে একটি রুটিন বানান। নিজের সময় বুঝে এবং নিজের সব কাজের জন্য জরুরি সময় বিচার করেই বানাতে হবে ওই রুটিন। কিন্তু তার পরের কাজটা আরো বেশি কঠিন। কারণ কোনভাবেই কিন্তু রুটিনের নড়চড় করা যাবে না। রুটিন মানতেই হবে।

গুরুত্ব : দিনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো দিনের শুরুতে সামলান। দরকার হলে কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী একটি লিস্ট বানিয়ে নিন। সেই তালিকা মিলিয়ে একে একে কাজ শেষ করুন। কোনও রকম মনোযোগের সমস্যা কাজের মাঝে আসতে দেবেন না।

বড় কাজ ভেঙে নিন : অনেকেই বড় কাজ দেখে ভয়ে পিছিয়ে যান। সেই অভ্যাসটা বদলাতে হবে। বড় কাজ দেখে পিছিয়ে না গিয়ে সেগুলোকে বরং ছোট ছোট ধাপে ভাগ করে নিন। এতে প্রতিটি ধাপে ছোট ছোট লক্ষ্যপূরণের আনন্দও পাবেন।

সমস্যা কোথায় : সমস্যা ছাড়া জীবন হয় না। সমস্যা আসবেই। কিন্তু কোনও কাজ করতে গেলে বাধা আসছে কোন কোন জায়গা থেকে। এক এক করে সেটাকে চিহ্নিত করে লিখে ফেলুন কাগজে। কর্মক্ষেত্রে পাশের মানুষটি কি খুব বেশি গল্প করেন?‌ মোবাইলে কি বার বার মেসেজ আসতে থাকে? চারপাশে শোরগোল হয় কি?‌ সমস্যা যদি এগুলো হয় বা এর বাইরে অন্য কিছু, তাহলে এই সমস্যাগুলো মেটানো যায় কীভাবে, তা আগে ভাবুন।

টাইম ব্লক : কাজের সময়টাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। হয়তো এক একটি আধ ঘণ্টার ব্লক বানালেন কিংবা এক ঘণ্টার। এই সময়টুকু টানা কাজ করবেন। তার পরে ৫ মিনিটের জন্য উঠবেন। আবার টানা কাজ করবেন আবার ৫ মিনিটের জন্য উঠবেন। এ ব্যাপারে একটা দুর্দান্ত টেকনিক আছে। পোমোডোরো টেকনিক মেনে চলতে পারেন, যা অত্যন্ত কার্যকরী বলে প্রমাণিত। কিন্তু যে টাইম ব্লকটি ঠিক করছেন, সেটা কিন্তু মাস্ট মেনে চলতেই হবে।

নিজেকে পুরস্কার : সুশৃংখল হওয়ার এটা শেষ পয়েন্ট হলেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু। সেল্ফ গিফট! হ্যাঁ, লক্ষ্য স্থির করার আগে নিজের জন্য একটা করে পুরস্কারও ঠিক করে ফেলুন। লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন। তাতে পরবর্তী কাজের জন্য অনুপ্রেরণাও পাবেন। আর তখন কাজ আরো দ্রুততার সাথে এগোবে।অতএব, সুশৃঙ্খল হওয়া অসম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করুন। সফলতা আপনার কাছে ধরা দিতে বাধ্য।‌


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন