Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

বিধানসভা ভোটের আগে ইআরও-এইআরও নিয়োগে তৎপর নবান্ন, জল্পনা তুঙ্গে আসন্ন এসআইআর নিয়ে

 

Speculation-surrounding-SIR

সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে প্রশাসনিক অন্দরে বেড়েছে তৎপরতা। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা– তাহলে কি আসন্ন এসআইআর (Special Summary Revision) ঘোষণার প্রস্তুতি শুরু হলো? বুধবার সকালে নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ গেছে– আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করে ইআরও (Electoral Registration Officer) ও এইআরও (Assistant Electoral Registration Officer)-দের নিয়োগের রিপোর্ট পাঠাতে হবে নির্বাচন কমিশনে।

নবান্ন সূত্রে খবর, ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলাসহ একাধিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফলে গোটা রাজ্যে এখনও প্রায় ৬১২টি ইআরও ও এইআরও-র পদ ফাঁকা। অথচ ভোটের নিরিখে এই দুই স্তরের আধিকারিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এক জন ইআরও’র অধীনে ৭-১০ জন এইআরও থাকেন। সেই হিসেবে প্রয়োজন ৩,০০০-এরও বেশি এইআরও।

শূন্যপদ পূরণে দেরি হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ব্লকের এক্সটেনশন অফিসার বা সমপদস্থ আধিকারিকদের সাময়িকভাবে এইআরও’র দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন অপরিহার্য। বাড়তি সতর্কতায় ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নবান্ন।

বিধানসভা ভোটে বুথের সংখ্যা বাড়ার ফলে বাড়ছে বিএলও–র সংখ্যাও। নতুন নাম ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে কমিশনে এবং সেই তালিকায় অনুমোদনও মিলেছে। ফলে শূন্যপদ পূরণ ও নতুন বুথের প্রয়োজন মেটানো নিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে প্রশাসনের ওপর।

প্রশাসনিক মহলের অভিমত, লোকসভা ভোটের তুলনায় বিধানসভা নির্বাচনে ইআরও ও এইআরওদের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা সরাসরি ভোটার তালিকা সংশোধন ও পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তাই নির্ধারিত সময়ে শূন্যপদ পূরণ সম্ভব না হলে নির্বাচনের প্রস্তুতি বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে।

রাজ্যের এক প্রশাসনিক কর্তার মন্তব্য, “সময়ের মধ্যে শূন্যপদ পূরণই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যেই যদি এসআইআর ঘোষণা হয়, তা হলে গোটা নির্বাচনী প্রস্তুতিই এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে।”

সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ও সময়মতো শূন্যপদ পূরণ—এই দুই বড় প্রশ্নের উত্তরেই নির্ভর করছে রাজ্যের আসন্ন ভোটের প্রস্তুতি। এসআইআর যদি ভোটের আগেই এসে পড়ে, তবে প্রশাসনিক পরিকাঠামো যে এক বিরাট পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড়াবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।‌





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন