সমকালীন প্রতিবেদন : ঋষভ পন্থ মানে লড়াই। গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা হোক বা ভাঙা পা নিয়ে ব্যাট করতে নামা হোক। পন্থ বরাবরই বাকিদের থেকে নিজেদের আলাদা জায়গায় রেখেছেন। উইকেটের পিছন থেকে ম্যাচ ঘোরানো হোক বা ব্যাট হাতে একের পর এক ঝুঁকিপূর্ণ শট নেওয়া, পন্থ সবসময় বাকিদের থেকে আলাদা। এবার প্লেয়ার পন্থের পাশাপাশি মানবিক পন্থের ছবি সামনে এল। তিনি এমন এক কাজ করলেন যেটা ক্রিকেটভক্তদের মন জিতল।
কর্নাটকের এক দুঃস্থ পড়ুয়ার কলেজের বেতন মিটিয়ে দিলেন ভারতের উইকেটকিপার। ওই পড়ুয়ার লেখা খোলা চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। তা থেকেই পন্থের এই মানবিক মুখের কথা জানা গিয়েছে। কর্ণাটকের বাগলকোট জেলার রাবাকবি গ্রামের জ্যোতি কানবুর মঠ নামে এক ছাত্রীকে আর্থিকভাবে সাহায্য করলেন পন্থ। জ্যোতি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেন। কিন্তু কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কলেজে ভর্তির জন্য তাঁর কাছে টাকা ছিল না। সেটা জানতে পারেন পন্থ, তাই আর তিনি অপেক্ষা না করে সাহায্য করেন। ৪০ হাজার টাকা কলেজের ফি জমা দেন পন্থ।
জ্যোতি পড়াশোনায় ভালো হলেও আর্থিকভাবে স্বচ্ছ্বল নয় তাঁর পরিবার। জ্যোতির বাবা একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। সেই দোকানের যা আয় তাতে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি করানো সম্ভব ছিল না। জ্যোতির এই অবস্থার কথা পৌঁছয় ঋষভ পন্থের কাছে। তিনি খবর পেয়ে আর দেরি করেননি, দ্রুত কলেজের ফি জমা দেন। পরে জ্যোতি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ সত্যিটা জানতে পারেন।
এর পরেই যৌথভাবে একটি খোলা চিঠি লেখা হয়। জ্যোতি জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অক্ষয় নামে এক ব্যক্তির থেকে গোটা বিষয়টা জানতে পেরেছিলেন পন্থ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি টাকা পাঠিয়ে দেন। পন্থকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি জ্যোতি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চান তিনি। তার পরে দুঃস্থ সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে চান।
পন্থের থেকে সাহায্য পেয়ে জ্যোতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিসিএস করা ছিল আমার স্বপ্ন। কিন্তু আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। আমি এক কাকার সঙ্গে এই বিষয়টা নিয়ে যোগাযোগ করি, তিনি তাঁর বন্ধুদের বিষয়টা জানান। এর পর তাঁরা ঋষভ পন্থের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আর পন্থ আমাকে সাহায্য করেন।’ আর এভাবেই বাইশ গজের বাইরেও দেশবাসীর মন জিতলেন ঋষভ পন্থ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন