সমকালীন প্রতিবেদন : এই নেশায় ডুবে গেলে জীবন হয়ে যায় বরবাদ! ফোন স্ক্রল করে কাটিয়ে দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা? আপনার সাথে হয়ে বসে আছে চরম সর্বনাশ। সারাক্ষণ রিল দেখছেন? ওই চক্করেই সবকিছুর বারোটা বেজে যাচ্ছে কিন্তু! অথচ রিলের ঘেরাটোপ থেকে আপনি হাজার চেষ্টা করেও বেরোতে পারছেন না? মাত্র ৫ টি কৌশল মানলেই হবে সমস্যার সমাধান।
খবরটা রেখেছেন? রিলস দেখার নেশা কিন্তু কঠিন অসুখের দিকে ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে। সেটা ধরা পড়েছে একটা গবেষণায়। অদ্ভুত বিষয় হলো, চাইলেও অনেকে রিলসের আসক্তি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। যদি আপনিও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে প্রথম যেটা করবেন তা হলো সময় নির্ধারণ।
১) নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। অভ্যেস করুন। হ্যাঁ, দিনে কতক্ষণ আপনি রিল দেখবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। একইসাথে রিলস দেখার বিষয়টাকে একটু কঠিন করে তুলুন। মানে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপ একটা আলাদা ফোল্ডারে সরিয়ে দিন। মোবাইল স্ক্রিনের ওয়ালপেপার কালার বর্ণহীন করে দিন যাতে চোখের আকর্ষণ কমে। আর অবশ্যই প্রতি রাতে লিখুন আপনি কতক্ষণ রিলস দেখেছেন সেদিন। এতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
২) অ্যাপের নোটিফিকেশন তো বন্ধ করবেনই, কিন্তু তার আগে জানুন কোন কোন ধরনের রিল দেখবেন? ধরুন আপনার কোনও কাজেই লাগবে না এরকম ভিডিওগুলো থেকে দূরে থাকুন। পরিবর্তে উৎপাদনশীলতা, মানসিক স্বাস্থ্য বা অনুপ্রেরণা দেয় এরকম কন্টেন্ট দেখুন। সেরকম মানুষকেই ফলো করুন। স্লো লাইফ কি? সেই সংক্রান্ত ভিডিয়োও দেখতে পারেন। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবের মতো অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখলে রিলের নেশা অনেকটাই কেটে যাবে।
৩) আর অন্য কাজে মন দিন। যেমন বই পড়া, গান শোনা, হাঁটাহাঁটি বা কোনও শখের কাজে সময় দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন, আড্ডা দিন। ঘুমানো বা শান্ত সুরে গান শুনে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
৪) এর সাথে যেটা সপ্তাহে অন্তত একদিন করবেন তা হল, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা। এতে মন ভাল থাকে, আসক্তি বা অ্যাডিকশন কমে। বরং দিনে নির্দিষ্ট কিছু সময় যেমন ঘুম থেকে উঠে প্রথম ৩০ মিনিট, খাওয়ার সময় বা শোওয়ার আগে ফোন থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে ফোনে "অ্যাপ ব্লকার"ও ব্যবহার করতে পারেন। লাভ পাবেন।
৫) প্রশ্ন করুন নিজেকে। কেন রিলস দেখা কমাতে চাইছেন? কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে? পরিবার বা বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটাতে? নাকি চাকরি বা পড়াশোনায় উন্নতি করতে? এই ধরনের গভীর প্রশ্ন নিজেকে করুন। উত্তর পাবেন। সঙ্গে যে নেশায় ডুবে যাচ্ছিলেন আপনি, সেখান থেকে বেরোনোও সোজা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন