সমকালীন প্রতিবেদন : ভালোবাসার সম্পর্কে বাঁধা পড়েছিলেন তারা। কিন্তু বিয়ের এগারো বছর পর সেই সম্পর্কই পরিণত হলো মর্মান্তিক পরিণতিতে। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগের পাশাপাশি এবার খুনের অভিযোগ উঠল। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তার স্বামীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম হাসিনা মণ্ডল (৩১)। গতকাল তার স্বামী গনি খান মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন হাসিনার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে তাকে পেশ করে পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এগারো বছর আগে গনি খান মণ্ডলের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন হাসিনা। গনির বাড়ি বাগদার করঙ গ্রামে। বিয়ের শুরুতে আত্মীয়-পরিজন মেনে না নিলেও পরে দাম্পত্য জীবন গড়ে ওঠে। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই গনি স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে।
পরিবারের দাবি, সেই নির্যাতনের পরিণতিই শেষমেশ হাসিনার মৃত্যু। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে হাসিনাকে। মৃতার দিদি জানিয়েছেন, “আমার বোনকে বছরের পর বছর অত্যাচার করেছে গনি। শেষমেশ খুন করে দিয়েছে। আমরা চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।”
ঘটনার খবর পাওয়ার পর বাগদা থানার পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সোমবার গনিকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে বিয়ে, আর সেই সম্পর্কেই কয়েক বছর ঘুরতেই নির্যাতন ও শেষ পর্যন্ত মৃত্যু—ঘটনাটি ফের একবার প্রশ্ন তুলছে সমাজে নারীর সুরক্ষা ও গার্হস্থ্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন