সমকালীন প্রতিবেদন : এবার নতুন উচ্চ মাধ্যমিক! টয়লেট ব্রেক নেই। অ্যাডমিট মিলবে অনলাইনে। এমনকি পাশাপাশি একই প্রশ্ন পাবে না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ভয়ে ঘাম ছুটছে পরীক্ষার্থীদের? নয়া বিধি প্রকাশ করে কি কি জানিয়ে দিল শিক্ষা সংসদ?
প্রথমেই প্রশ্নপত্রের বিষয়টা উল্লেখ করে দেওয়া দরকার। সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধাঁচে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও পরীক্ষার কেন্দ্রে বসাতে হবে ইংরিজি ‘এস’ অক্ষরের মতো বা ‘ক্রিসক্রস’ ভাবে। আসন্ন তৃতীয় সেমেস্টার পরীক্ষা সংক্রান্ত যে বিধি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই এই বিধির কথা উল্লেখ করেছে শিক্ষা সংসদ।
শিক্ষা সংসদের তরফে দেওয়া বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি কক্ষে এমনভাবে ছাত্রছাত্রীদের বসাতে হবে, যাতে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র হাতে পায়। যদি কোনও পড়ুয়া অনুপস্থিত থাকে, তা হলে সেই প্রশ্নপত্র তার শূন্যস্থানেই রাখতে হবে। ওই প্রশ্নপত্র অন্য কোনও পরীক্ষার্থীকে দেওয়া যাবে না। বর্তমানে জয়েন্ট, নিট ইউজি ও নেট-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানাচ্ছে শিক্ষা সংসদ।
না শুধু এইটুকু নিয়ম নয়। এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরো বড় একটা 'নিয়ম'! সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে দু’জন পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে, সবার সামনে প্রশ্নপত্র খোলা হবে। তারপর সেগুলো তুলে দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের হাতে। নিয়মের সব থেকে যে বড় বদলটা এসেছে তা হল, সওয়া একঘণ্টার পরীক্ষা বলে ছাত্রছাত্রীরা কোনও ‘টয়লেট ব্রেক’ পাবে না। মোদ্দাকথা, এবছর পরীক্ষা চলাকালীন টয়লেট যেতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের, তাই পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থী শৌচালয় যেতে পারবে না। তবে অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিট জমা দিয়ে যেতে হবে।
হ্যাঁ এবছরই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে ওএমআর শিটে। ওএমআর শিট যাতে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট না-হয়, তার জন্য পলিথিনের প্যাকেটে ভরে পাঠানো এবং আনানো হবে। কারণ, ওএমআর শিটে জল পড়লে কম্পিউটার সেটি মূল্যায়ন করতে পারবে না। প্রশ্নপত্রও একই পদ্ধতিতে আসবে।
আর এবার অ্যাডমিট অনলাইনে দেওয়া হবে। স্কুলগুলি তা ডাউনলোড করে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ তা তুলে দেবেন ছাত্রছাত্রীদের হাতে। ফলে স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড কালেক্ট করার ঝক্কি নেই। প্রথমদিন অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে গেলে পরীক্ষা বাতিল হবে না। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে অ্যাডমিট আনা বাধ্যতামূলক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তবে এই পরীক্ষা করবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা, পুলিশ এতে হস্তক্ষেপ করবে না। যদি কোনও ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা অভব্য আচরণ বা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে, তবেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে। পরীক্ষা শুরু সকাল ১০ থেকে। পরীক্ষার্থীদের অন্তত একঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতেই হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন