সমকালীন প্রতিবেদন : টেস্ট ক্রিকেট মানেই ধৈর্য, স্ট্যামিনা ও দীর্ঘ সময় ধরে পারফরম্যান্স বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ। একদিনের খেলায় মোট দু’টি বিরতি থাকে—প্রথমটি মধ্যাহ্নভোজের, দ্বিতীয়টি চা-বিরতির। এই বিরতিগুলি কেবল বিশ্রামের নয়, ক্রিকেটারদের জন্য তা শরীর ও মানসিকতা রিচার্জ করারও গুরুত্বপূর্ণ সময়। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে—এই বিরতিগুলিতে আদৌ কী করেন ক্রিকেটাররা? তাঁরা কি চা-বিরতিতে সত্যিই চা পান করেন? কিংবা মধ্যাহ্নভোজে পেটভরে খান?
এই সব প্রশ্নেরই সোজাসাপটা উত্তর দিলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটার অলি পোপ। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোপ জানিয়েছেন, মাঠে নামার আগে এবং খেলার মাঝখানে শরীরকে ঠিক রাখতেই বিশেষ ধরনের খাদ্য গ্রহণ করেন ক্রিকেটাররা।
পোপ বলেন, “সাধারণত আমরা খাই সাদা মাংস, মাছ বা পাস্তা জাতীয় হালকা খাবার। লক্ষ্য থাকে শরীরকে প্রয়োজনীয় জ্বালানি দেওয়া। খুব ভারী খেলে সমস্যা হয়। তাই প্রত্যেকে নিজের মতো করে ব্যালান্স রাখে।”
ব্যাটিংয়ে নামার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “যদি আমি মধ্যাহ্নভোজের সময় ব্যাট করতে থাকি, তা হলে ভারী কিছু খাই না। শরীর যেন ভারী না হয়ে যায়, সেদিকেই খেয়াল থাকে। সেই সময় সাধারণত প্রোটিন শেক কিংবা একটি কলা খেয়ে নিই। একটানা ব্যাট করতে হলে পুরো দিন কখনও কিছু না খেয়েই কেটে যায়। খালি পেটে খেলাটা সহজ নয়, তবে খেয়েদেয়ে ব্যাট করাটা তার চেয়েও কঠিন।”
চা-বিরতির সময় প্রসঙ্গে পোপ জানান, “কেউ কেউ চা-ই খায়, আবার কেউ কফিও খায়। আমি নিজে কফি খেতে পছন্দ করি। তবে বৃষ্টির দিন হলে একটা গরম চা বেশ আরাম দেয়।”
এই সাক্ষাৎকার শুধু খেলোয়াড়দের খাদ্যাভ্যাস নয়, ক্রিকেটের পর্দার আড়ালের কিছু বাস্তব তথ্যও সামনে এনে দিয়েছে। মাঠের বাইরের এইসব ক্ষণেই তৈরি হয় পরবর্তী সেশন জয়ের রণনীতি। শুধু খেলা নয়, শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতিও টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দিক, সে কথাই যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন অলি পোপ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন