সমকালীন প্রতিবেদন : ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। এরপর বেশ কিছু টেস্ট সিরিজ। ঘরের মাঠে দেড়শো রানের দুর্দান্ত ইনিংসও খেলেছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ। গত অস্ট্রেলিয়া সফরেও স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু সুযোগ হয়নি। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার মতো দুই সিনিয়র ব্যাটার অবসর নেওয়ার পর মনে করা হয়েছিল, এবার একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাবেন সরফরাজ। দক্ষতা প্রমাণের আরও সুযোগ পাবেন। কিন্তু ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াডেই জায়গা মেলেনি। টেস্ট টিমে ফিরতে মরিয়া। নজর দিয়েছেন ফিটনেসেও।
একটা সময় বিরাট কোহলিরও ফিটনেস নিয়ে সমস্যা ছিল। সেটা কেরিয়ারের শুরুর দিকে। উপলব্ধি হতেই নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলার চেষ্টায় নেমে পড়েন। সরফরাজ খানও যেন সেটাই করছেন। তাঁর বাদ পড়ার কারণ যে শুধুই পারফরম্যান্স নয়, তা বুঝতে পেরেছেন। ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াড বাছাইয়ের পর নির্বাচকরা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে যে কেউ ফিরতে পারেন। যেমনটা করুণ নায়ারের ক্ষেত্রে হয়েছে।
ঘরোয়া মরসুম শুরু হতে কিছুটা সময় এখনও বাকি। তার আগেই ফিটনেসের দিক থেকে এতটা পরিবর্তন যেন সরফরাজকে চেনাই দায়। সত্যিই সরফরাজ খান তো? দু-মাসে কমিয়ে ফেলেছেন ১৭ কেজি ওজন। বিরাট কোহলির মতোই নিজের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন সরফরাজ? ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সদ্য একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সরফরাজ। সেখানেই তাঁর পরিবর্তন দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই।
২৭ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় গত কয়েক মাস ধরে ওজন কমানোর যাত্রায় ছিলেন। নিজের এই সময়ের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে তিনি বলেন, "খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমরা রুটি, ভাত ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। ১ থেকে দেড় মাস ধরে আমরা বাড়িতে রুটি বা ভাত খাইনি। আমরা ব্রকলি, গাজর, শসা, স্যালাড খাই।
এর পাশাপাশি, গ্রিলড ফিশ, গ্রিলড চিকেন, সেদ্ধ মুরগি, সেদ্ধ ডিম ইত্যাদি খাই। গ্রিন টি এবং গ্রিন কফিও খাচ্ছি। অ্যাভোকাডোও খাই। স্প্রাউটও আছে। কিন্তু মূল কথা হল রুটি এবং ভাত এবং চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।" এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করতে পারলে সরফরাজ দ্রুত টেস্ট টিমে কামব্যাক করবেন, এই প্রত্যাশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন