Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ : বাংলাদেশে আটক ৩৪ ভারতীয় মৎস্যজীবী

 ‌

34-Indian-fishermen-detained

সমকালীন প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। কিন্তু কিভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ল ভারতের দুটো ট্রলার? দঃ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ও নামখানা অঞ্চল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। আটক মৎস্যজীবীদের পরিবার উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ভারতীয় হাই কমিশনারের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ অঞ্চল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েন ওই ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। এর জেরেই তাঁদের আটক করেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত দু’টি ট্রলার ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী’।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশ উপকূলবর্তী মোংলা বন্দরের আশেপাশে ওই মৎস্যজীবীরা গভীর রাতে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় টহলদারি চালানোর সময় সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। তাঁদের ট্রলার দু’টি অনুসরণ করে ধরে ফেলে। এরপর ট্রলার-সহ ৩৪ জনকে মোংলা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ওই ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে আদালতে পেশ করার কথাও ছিল। 

কিন্তু কিভাবে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করলো ওই দুটো ভারতীয় ট্রলার? মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রাথমিক অনুমান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় কদিন ধরেই সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। সেই কারণে ট্রলার দুটো গতিপথ হারিয়ে ওপারে চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় ট্রলারগুলোর জিপিএস ব্যবস্থার উপর।

এদিকে, এই ঘটনার জেরে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন ধৃতদের পরিবার। কাকদ্বীপ ও নামখানার মতো উপকূলবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজন বলেন, এই আটকের খবর শুনে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাঁদের উৎকণ্ঠা কাটছে না। ঘটনার পরপরই পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য দফতর তৎপর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন