সমকালীন প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগে হার দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছেন শুভমান গিলরা। যদিও দাদাদের মতো ভুল করেনি ভারতের ছোটরা। ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে অভিযান শুরু করল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আর সেই ম্যাচে ১৯ বলে ৪৮ রান করে নায়ক বৈভব সূর্যবংশী। শুধু নায়ক বললে কমই বলা হয়। আসলে ইংল্যান্ডের মাটিতে বৈভবের রাজত্ব চলল।
প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের ছোটরা ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ইসাক মহম্মদ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের ছেলে রকি ছাড়া সেভাবে কেউ রানই পায়নি। কণিষ্ক চৌহানের ২০ রানে ৩ উইকেটের সৌজন্যে মাত্র ৪৩ ওভারে গুটিয়ে যায় ইংরেজদের ইনিংস। দুটি করে উইকেট নেয় আরএস অম্বরিশ, মহম্মদ এনান ও হেনিল প্যাটেল।
জবাবে আগুন ছড়িয়ে দেয় ভারতের দুই কিশোর প্রতিভা। অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রে করে ২১ রান। অন্যদিকে অপ্রতিরোধ্য বৈভব। দুজনের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১ রান। ম্যাচ কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায়। বৈভব মারে পাঁচটা ছয় ও তিনটে চার। অর্থাৎ ৪৮ রানের মধ্যে ৪২ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে। সবচেয়ে বেশি প্রহার করে ইংল্যান্ডের দুই বোলার জ্যাক হোম ও জেমস মিন্টোকে। শেষ পর্যন্ত স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে আউট হয় বৈভব। মাত্র দুই রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস হয়।
মাঝে আরও দুটি উইকেট পড়লেও জিততে অসুবিধা হয়নি। সহ-অধিনায়ক অভিজ্ঞান কুণ্ডু ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেয়। ভারতের ইনিংসের বয়স তখন মাত্র ২৪ ওভার। ৬ উইকেটে জেতে ভারতের ছোটরা। তবে তথ্য-পরিসংখ্যানের থেকেও যেটা ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে, সেটা হল বৈভব-আয়ুষদের দাপট, আগ্রাসন ও ভয়ডরহীন মনোভাব।
অনেকে তো শুভমানদেরও পরামর্শ দিচ্ছেন, ভাইদের থেকে শেখার জন্য। পাঁচটি ওয়ানডের পর দুটি টেস্টও খেলবে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যার শুরুটা ভালোই হল। কারণ, এটি ইয়ুথ ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল। ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। এরপর নর্দাম্পটনে আবার ৩০ জুন দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন