সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ থানার অন্তর্গত দেবগড় এলাকায় রবিবার সকালে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের বাড়ির ঘর থেকেই উদ্ধার হল এক ১৫ বছরের কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। মৃত কিশোরীর নাম তিথি হালদার। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে কিশোরীর ঠাকুমা জানলা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নাতনিকে দেখতে পান। চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। পরে খবর দেওয়া হয় বনগাঁ থানার পুলিশকে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিথির পরিবার জানিয়েছে, মেয়েটি আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ না থাকায় শনিবার রাতে তার মা কিছুটা বকাঝকা করেন। মায়ের দাবি, মেয়েটি হয়তো মায়ের উপর অভিমান করেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঘটনাকে ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তার নাম বা পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং ঘটনাটির পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে না পেলেও, এই আত্মঘাতী মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
বনগাঁ থানার এক আধিকারিক জানান, "মৃত্যুর পেছনে সত্যিই শুধুই পারিবারিক অভিমান কাজ করেছে নাকি অন্য কোনো ঘটনা লুকিয়ে আছে, তা জানতে আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। তদন্তের স্বার্থে অনেক তথ্য এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।" এই মর্মান্তিক ঘটনার পর তিথির পরিবার ও প্রতিবেশীরা শোকস্তব্ধ। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন—মাত্র ১৫ বছরের একটি মেয়ের জীবনে এমন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন কেন এল?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন