সমকালীন প্রতিবেদন : বর্ষা আসার নির্ধারিত সময় ১০ জুন হলেও, এই বছর তার দেখা মিলছে না দক্ষিণবঙ্গে। বরং আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। ফলে আগামী কয়েকদিন রাজ্যের দুই বঙ্গেই গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার দাপট বজায় থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মূলত পরিষ্কার। তবে কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা দিয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত নেই। বিশেষত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাগুলিতে আজ ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অন্যান্য জেলাগুলিতে ৩০-৪০ কিমি গতির ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
কলকাতায় আজ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা বেশি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে পৌঁছে গেছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকছে চরমে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। শনিবার থেকে আরও শুষ্ক ও গরম হাওয়ার প্রবাহ বাড়বে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূমে।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ কমবে বলে পূর্বাভাস। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাগুলিতে আজ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
বরং শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলেও তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। বর্ষার বিলম্বের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে দুর্বল মৌসুমী অক্ষরেখা। সঙ্গে পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বায়ুর প্রবাহ দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে।
বর্ষার জন্য দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে আরও অন্তত এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতে পারে। ততদিন পর্যন্ত গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির সঙ্গে থাকতে হবে বঙ্গবাসীদেরকে। আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ—বাড়ির বাইরে বের হলে জল পান করে বেরোন, ছাতা ব্যবহার করুন এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন