সমকালীন প্রতিবেদন : বন্ধুদের মধ্যে আম পারা কে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসা এবং পরে তা হাতাহাতিতে পরিনত হতেই ঘটে গেল বড় বিপত্তি। বেকায়দা আঘাত লাগায় শেষ পর্যন্ত প্রাণ গেল এক বন্ধুর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গোবরডাঙা থানার ঝনঝনিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। জানা গেছে, ওই দিন বাড়ির পাশের একটি বাগানে বন্ধুদের সঙ্গে আম পারতে গিয়েছিলেন বশির মন্ডল(৩৩)। সেখানে দু এক কথায় অন্য এক বন্ধু রাকিবুলের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। পরবর্তীতে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। বেগতিকভাবে রাকিবুলের প্রহারে ব্যাপকভাবে আহত হন বশির।
ঘটনা চলাকালীন অন্য বন্ধুরা হাতাহাতি থামিয়ে বশিরের পরিবারকে খবর দেন। পরিবারের লোকেরা সেখানে এসে দেখেন যে, আহত অবস্থায় আম বাগানে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে বশির। তড়িঘড়ি বশিরের পরিবার ও অন্যান্য বন্ধুরা তাঁকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক জানান, স্পাইনাল কড সহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত লেগেছে বশিরের।
এরপর তাঁকে বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। সোমবার সন্ধ্যায় বারাসত মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বশিরের পরিবারকে জানানো হয়, স্পাইনাল কর্ডে গুরুতর আঘাত লাগার কারণে তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হল না।
ঘটনার দিন রাতেই গোবরডাঙা থানায় রাকিবুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বশিরের পরিবারের লোকেরা। মঙ্গলবার ভোররাতে বেরগুম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেটিয়াগাছি এলাকা থেকে অভিযুক্ত রাকিবুলকে গ্রেপ্তার করে গোবরডাঙা থানার পুলিশ।
ধৃত রাকিবুলকে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে বারাসত আদালতে পেশ করে গোবরডাঙা থানার পুলিশ। অন্যদিকে বশির মন্ডলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবেশ শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন