সমকালীন প্রতিবেদন : গাইঘাটা ব্লকের রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলল সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সমবায় নির্বাচনের ফলাফলে। আট বছর পর অনুষ্ঠিত ডুমা ফিসারমেন্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে ৬-৩ আসনে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এই সমবায় এতদিন তৃণমূলের দখলে থাকলেও এবার তার নিয়ন্ত্রণ চলে গেল গেরুয়া শিবিরের হাতে।
গাইঘাটার সবাইপুর আদর্শ বিদ্যাপিঠে অনুষ্ঠিত হয় সমবায়ের নির্বাচন। ৯ আসনের এই সমবায়ে বিজেপি প্রার্থী দেয় ৮টি আসনে, অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৯টি আসনে। ফলাফলে দেখা যায়, ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি এবং মাত্র ৩টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তৃণমূলকে।
এর আগেও গাইঘাটার শশাডাঙা ও বর্ণবেড়িয়া সমবায় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল। ডুমার ফলাফলের পর গাইঘাটা ব্লকে সমবায় রাজনীতিতে বিজেপির আধিপত্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল।
বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার এই জয়ের পর বলেন, 'মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। আট বছরে তৃণমূল ডুমা বাওড়ের কোন উন্নয়ন করেনি। তাই মানুষ পরিবর্তনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন।'
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের গাইঘাটা ব্লক-২ সভাপতি শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, 'বাম ও বিজেপির একাংশের অলিখিত জোট এই ফলাফলের পেছনে দায়ী। মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে মৎস্যজীবীদের জন্য যে উন্নয়ন হয়েছে, তা সত্ত্বেও মানুষ কেন আমাদের ভোট দিল না, তা আমরা খতিয়ে দেখব।'
এই নির্বাচনী ফলাফলে গাইঘাটা অঞ্চলে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি এবং মৎস্যজীবী সমাজে প্রভাব বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক দুর্গে ধস নামার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব পরাজয়ের কারণ খুঁজে দেখার আশ্বাস দিয়েছে, তবে একের পর এক সমবায় হাতছাড়া হওয়া দলটির জন্য যে উদ্বেগের বিষয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন