সমকালীন প্রতিবেদন : মা দুর্গা ও শনিদেবের একটা প্রিয় জিনিস। এটা দিয়ে হয় অসাধ্য সাধন! কর্মজীবনে দেখার মতো উন্নতি, খুলবে সৌভাগ্যের দুয়ার। হবে সংসারে উন্নতি। বাড়বে সম্মানও। শুধুমাত্র একটুকরো লোবানের কেরামতি দেখুন। লোবান কী জানেন? এর কার্যকারিতাই বা কী? ব্যবহারে কী হয়? বিস্তারিত জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদন।
লোবান একটি বিশেষ ধরনের ধূপ। পুজোপাঠ করার সময় অনেকেই ব্যবহার করেন। এগুলো ধুনোর আকৃতিতে কিনতে পাওয়া যায়। আবার মোটা আকারের ধূপকাঠির মতো বানিয়েও বিক্রি করা হয়। এই ধূপের গন্ধটা খুব সুন্দর।
পুজোর সময় ব্যবহার করলে বাড়ি থেকে নেগেটিভ শক্তি দূর হয়। শুধু তাই নয়, লোবান ব্যবহারে বাড়িতে পজিটিভ শক্তিরও প্রবেশ ঘটে। জ্যোতিষশাস্ত্রে লোবান দিয়ে বিশেষ কিছু টোটকার কথা বলা রয়েছে। যেমন–
১.লোবান, কর্পূর, ঘি আর সাদা চন্দন একসঙ্গে মিশিয়ে সারা বাড়িতে এর ধোঁয়া দিলে, বাড়ির উন্নতি কিছুদিনের মধ্যে চোখে পড়ার মতো হবে। করে দেখতে পারেন এই টোটকা। উপকার পাবেন বলেই আশা করা যায়।
২.প্রতি পূর্ণিমায় লোবান দিয়ে করুন একটা বিশেষ টোটকা। ২১টি লবঙ্গ এবং কিছুটা লোবান নিয়ে মা লক্ষ্মীদেবীর সামনে জ্বেলে ধ্যান করুন, দ্রুত হবে আর্থিক উন্নতি।
৩.শুধু পূর্ণিমা নয়। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজীর মন্দিরে একটা মাটির প্রদীপের উপর দুটো লবঙ্গ, সামান্য সর্ষের তেল এবং কিছুটা লোবান জ্বালালে কর্মজীবনে উন্নতি ঘটে দেখার মতো। বাড়ে সম্মানও।
৪.শুরুতেই বলেছি মা দুর্গার প্রিয় লোবান। তাই মা দুর্গার পুজোয় লোবানের ব্যবহার করা আবশ্যিক।
৫.মনে করা হয় যে শনিদেবেরও খুব প্রিয় জিনিস এই লোবান। তাই প্রতি শনিবার সন্ধ্যাবেলা শনিমন্দিরে গিয়ে লোবান জ্বালুন। এতে শনিদেবের কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
৬.লোবান জ্বাললে বাড়ির সদস্যদের মনঃসংযোগ বাড়ে। কাজে মন বসে।
৭.এমনকি বাড়িতে কোনও সদস্য যদি দীর্ঘ দিন ধরে অসুখে ভোগেন, তাহলে প্রতি সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে লোবান জ্বালুন। ওই অসুস্থ মানুষ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
৮.শুক্র এবং শনি গ্রহের প্রতিকূল প্রভাব থেকে মুক্ত হতে লোবানের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
উল্লেখ্য, উপরিউক্ত যে যে টোটকার কথা বলা হল সেগুলো পালন করলে ভাগ্যের উদয় হয় এবং পরিবারে সুখ-শান্তি ভরে থাকে বলে মত জ্যোতিষশাস্ত্রের। তাই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে লোবান ব্যবহার করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন