সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যে জাল ওষুধের প্রবেশ আটকাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আর এবার প্রকাশ করা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি। এই বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের ওষুধ হোলসেলার ও খুচরো বিক্রেতাদের জন্য বেশ কিছু কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ১৩৭টি ওষুধ বাতিল করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আই ড্রপ, কেমোথেরাপির ওষুধ, ডায়াবেটিসের ইনজেকশন, পেটের আলসার সারানোর ওষুধসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। বাতিল ওষুধগুলোর তালিকা প্রকাশ করে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিক্রেতারা যেন ওষুধ কেনার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বৈধ লাইসেন্স ও তার মেয়াদ খতিয়ে দেখেন। রাজ্যের বাইরের কোনও সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ কেনা হলে সেই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস ও জিএসটি নম্বর যাচাই করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া প্রায় ৩০০টি ওষুধের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় সেগুলি কেনার আগে বাধ্যতামূলকভাবে কিউআর কোড স্ক্যান করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের একাধিক সতর্কতা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে কেন্দ্রের তরফে ২৭৮টি ওষুধকে ‘নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস’ বলে ঘোষণা করা হয়। এসব ওষুধ মান পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হয়।
জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে রাজ্য যে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ, তা পরিষ্কার। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, নতুন নিয়ম মেনে চললে রাজ্যে জাল ওষুধের প্রবেশ অনেকটাই রোধ করা যাবে। জনসাধারণের স্বার্থে এটি এক বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন