Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবিরের অপ্রত্যাশিত সহিংসতার নেপথ্যের কারণ জানার চেষ্টায় পুলিশ

 

Violence-Humayun-Kabir

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বুধবার সন্ধ্যায় বনগাঁর একটি মাদ্রাসায় হামলা এবং তার আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে নিজের বাবা-মাকে নির্মমভাবে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া হুমায়ুন কবিরের ঘটনায় তোলপাড় প্রশাসনে। তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

হুমায়ুন কবির পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির কাশিয়াড়া কাজিপাড়ার বাসিন্দা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর নয়ডার একটি খ্যাতনামা সংস্থায় কর্মরত ছিল। বিবাহিত জীবনেও তাঁর সমস্যা দেখা দেয়, যার জেরে মানসিকভাবে সে ভেঙে পড়ে বলে ধারণা।

ছয় মাস আগে হঠাৎ করেই কালনার পৈত্রিক ভিটে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় হুমায়ুন। প্রায় চার মাস পর তার সন্ধান পেয়ে পরিবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। তবে এই নিখোঁজ থাকার সময়টিতেই তার মধ্যে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় বলে মনে করছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।

বুধবার সকালে স্থানীয়রা রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা হুমায়ুনের বাবা মুস্তাফিজুর রহমান (৬৬) ও মা মমতাজ পারভিন (৫৬)-এর দেহ দেখতে পান। তাঁদের গলার নলি কাটা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং নিষ্ঠুরতার চূড়ান্ত।

এরপর হুমায়ুন সোজা চলে আসে বনগাঁয়, সেখানে এক মাদ্রাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে চারজন গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে উত্তেজিত জনতা হুমায়ুনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে বনগাঁ থানা চত্বরে উত্তেজনা চরমে ওঠে, ব্যাপক ভাঙচুর হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বনগাঁ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় হুমায়ুন খালি হাতেই কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে আক্রমণ করে আহত করে। থানার ভিতরেও তার আচরণ ছিল চরম আক্রমণাত্মক। বৃহস্পতিবার হুমায়ুন কবিরকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।‌

তদন্তকারীদের মতে, হুমায়ুনের এই হঠাৎ পরিবর্তনের পেছনে মানসিক ভারসাম্যহীনতা, মাদকাসক্তি অথবা ধর্মীয় চরমপন্থায় প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তার নিখোঁজ থাকার সময় সে কোথায় ছিল, কার সংস্পর্শে এসেছিল, সেসব নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশের বিশেষ দল ইতিমধ্যেই ওই সময়ের কল রেকর্ড, মোবাইল লোকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।






 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন