Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

জামাইষষ্ঠীতে শুভ গিফট হিসেবে কি দেবেন?‌

 ‌

Gift-for-Jamaisosthi

সমকালীন প্রতিবেদন : জামাইষষ্ঠীতে নিজের মর্জিমাফিক যেকোনো উপহার জামাইকে ভুলেও দেবেন না। বড় বিপদ হতে পারে। কি কি উপহার হিসেবে জামাইকে দিতে পারবেন না শাশুড়িরা? সেটা জেনে নেওয়া দরকার। গিফটে ঘড়ি দেওয়ার প্ল্যান নেই তো? ভুগতে হবে! তাহলে শুভ উপহারের তালিকায় কী কী রয়েছে? আর বাতিলের তালিকায় কী কী? বিস্তারিত থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে। 

ইলিশ-চিংড়ি-পাঠা সহ পঞ্চব্যঞ্জনে থালা সাজিয়ে জামাইকে খেতে দেওয়া তো মাস্ট। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে শাশুড়িদের, চোখে দেখে যা ভাল লাগে, তা-ই উপহার হিসেবে দেওয়া যায় না। সব কিছুরই একটা শুভ-অশুভ ব্যাপার রয়েছে। তাই যারা শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তারা উপহার কিনতে যাওয়ার আগে একবার জেনে নিন যে, কোন কোন জিনিস উপহারের তালিকায় রাখা যাবে না। সঙ্গে জেনে নিন কী কী উপহার দিলে জামাইয়ের জীবন সাফল্য ও আনন্দে ভরে উঠবে। প্রথমে বলবো কী কী দিতে পারবেন?

কী কী জিনিস উপহার হিসাবে দেওয়া যাবে?

পোশাক : জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে নির্দ্বিধায় জামাকাপড় গিফ্ট করতে পারেন। কিন্তু কালো বা অন্যান্য কোনও গাঢ় রঙের পোশাক না দেওয়াই ভাল বলে মনে করা হচ্ছে। সাদা, হলুদ, লাল, আকাশি, কমলা প্রভৃতি রঙের পোশাক জামাইকে উপহার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। 

সোনা-রুপোর গয়না : সোনার চেইন, ব্রেসলেট, আংটি তো বটেই। কিন্তু বাজেটে না কুলোলে ভাবতে পারেন অন্য কিছুও। বহু পুরুষই হাতে রুপোর ব্রেসলেট বা বালা পরতে ভালবাসেন। শাস্ত্রমতে, রুপোর জিনিস উপহার দেওয়া অত্যন্ত শুভ। তাই মন চাইলে কোনও ভাবনাচিন্তা না করে জামাইকে রুপোর গয়না উপহার হিসেবে দিতেই পারেন জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে।

ব্যাগ : তালিকায় রাখতে পারেন ল্যাপটপ নেওয়ার ব্যাগ বা অফিসের ব্যাগও। কিন্তু মানিব্যাগ উপহার দেওয়া যাবে না। একান্তই যদি মানিব্যাগই উপহার দিতে হয়, তা হলে তাতে কিছু টাকা ভরে দেবেন।

বৈদ্যুতিন যন্ত্র : প্রতি বছর পোশাক দিতে দিতে যদি বোর হয়ে যান, আর নতুন কিছু যদি দিতে মন চায়, তাহলে বৈদ্যুতিন যন্ত্র উপহার দিতে পারেন। যে কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্রই উপহার হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।

ঘর সাজানোর জিনিস : দেওয়া যেতে পারে অনায়াসে ঘর সাজানোর জিনিস। যেমন বুদ্ধমূর্তি, স্ফটিকের কচ্ছপ, লাফিং বুদ্ধ, কোনও ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি উপহার হিসাবে দিতে পারেন। এতে আপনার জামাইয়ের ভালো হবে।

চকোলেট ও ড্রাই ফ্রুটস : আর এটা দিলে আপনার জামাই তো খুশিই হবেন। আপনার আদরের জামাই যদি খাদ্যরসিক হন, তা হলে তাঁকে চকোলেট এবং ড্রাই ফ্রুটস উপহার হিসাবে দেওয়াই যায়। এতে আপনাদের সম্পর্কের মিষ্টত্ব বজায় থাকবে।‌ কি? আইডিয়াটা কেমন লাগলো?

ঘর সাজানোর গাছ : এই বিষয়টা কিন্তু খুব ট্রেন্ডিং। আজকাল গাছ দিয়ে ঘর সাজানোর চল খুব হয়েছে। আপনার জামাই যদি শৌখিন মানুষ হন এবং চোখের সামনে সবুজের ছোঁয়া রাখতে ভালবাসেন, তা হলে ঘর সাজানোর গাছ উপহার দিতে পারেন আপনি। ফ্রেশ অক্সিজেন পাওয়া শুধু নয়, গাছ কিন্তু আপনার মেয়ে‌–জামাইয়ের মনও ভালো রাখবে। শুধু বাড়ি নয়, চাইলে আপনার জামাই উপহার পাওয়া গাছ তাঁর অফিসের ডেস্কেও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে যে যে ধরনের গাছ গিফট করতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য লাকি বাম্বু, পিস লিলি, স্নেক, মানিপ্ল্যান্ট, জেড প্রভৃতি।

এবার বলব কি কি দিতে পারবেন না আপনার জামাইকে উপহার হিসেবে?

ঘড়ি : অনেকেই হাতঘড়ি উপহার হিসাবে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই কাজ করা উচিত নয়। মনে করা হয়, আপনার জীবনে যদি খারাপ সময় চলে, তাহলে সেটি আপনি যাকে ঘড়ি উপহার দিচ্ছেন তাঁর কাছেও চলে যাবে। তাই হাতঘড়িকে উপহারের তালিকা থেকে বাদ রাখাই শ্রেয়।

রুমাল : আজকাল অনেক ব্র্যান্ডেড সংস্থা ওয়ালেট এবং রুমালের কম্ব কালেকশনে রাখছেন। সেক্ষেত্রে জামাইকে উপহার হিসেবে এটা অনেকেই দিতে চাইতে পারেন। কিন্তু রুমালকেও উপহার হিসাবে অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই ওই পথে না এগোনোই ভালো।

জুতো : আর একটা জিনিসও দেবেন না। জামাইকে ভুলেও জুতো উপহার দেবেন না। এতে সম্পর্কে ভাঙন সৃষ্টি হতে পারে।

সুগন্ধি : সুগন্ধিও উপহার হিসাবে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করা হয়। যদি দিয়েও দেন, সেক্ষেত্রে জামাইয়ের থেকে এক টাকা হলেও নিয়ে নেবেন। আর এটা মনে রাখবেন, রুম ফ্রেশনার জাতীয় সুগন্ধি দ্রব্য দেওয়া যেতে পারে। তাতে সমস্যা নেই। 

১ জুন, রবিবার জামাইষষ্ঠী। অনেক বাঙালি হিন্দুর বাড়িতেই এই উৎসব অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসব হল শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের আদর-আপ্যায়নের উৎসব। জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়িমায়েরা মেয়ে-জামাইয়ের মঙ্গলকামনা করে দেবী ষষ্ঠীর পুজো দেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, পুজো দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বিশেষ কিছু টোটকা রয়েছে, সেগুলো করতে পারলে মেয়ে-জামাই খুবই সুখী হয়। গিফট নিয়ে কি চুজ করবেন বা করবেন না সেটা যেমন জানিয়ে রাখলাম, তেমনি বিশেষ একটা টোটকা যা আপনার জামাইয়ের মঙ্গল করবে সেটা হলো, এই দিন জামাইকে নানা ধরনের ভাল খাবার খাওয়ানোর রেওয়াজ রয়েছে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, জামাইকে যেন সে দিন বাড়িতে বানানো পায়েস খেতে দেওয়া হয়। সঙ্গে অন্যান্য মিষ্টান্নও রাখতেই হবে।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন