Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

ফের ট্রফি জয়ের হাতছানি কোহলির সামনে

 

IPL-Trophy

সমকালীন প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার যে দু'টো দল প্লে অফের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি, যারা কখনও আইপিএল জেতেনি। এমন একটা ম্যাচে টসে জিতে পঞ্জাব কিংসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক রজত পাতিদার। মুলানপুরে খেলা হওয়ায় দর্শক সমর্থন পঞ্জাবের পক্ষেই ছিল। যদিও আরসিবি অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা যায়।

এদিন শুরুতেই ঝটকা খায় প্রীতি জিন্টার দল। যশ দয়ালের বলে মাত্র ৭ রানে ফেরেন প্রিয়াংশ আর্য। এরপর একে একে ফেরেন প্রভসিমরন সিং, তিনি করেন মাত্র ১৮ রান এবং শ্রেয়স আইয়ার মাত্র ২ রান করে ফেরেন। তাঁদের ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার এবং জশ হ্যাজেলউড। আরসিবি দলে হ্যাজেলউড ফেরায় তাদের বোলিং বিভাগকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। নিজের প্রথম দু-ওভারেই তিনি উইকেট পান। 

উইকেটকিপার জশ ইংলিশও তাঁর বলে ফেরেন। একটা সময় বেঙ্গালুরুর গতি তারকাদের দাপটে পঞ্জাব মাত্র ৫০ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলে। এরপর আরও এক উইকেটের পতন হয়। সাফল্য পান স্পিনার সুয়াশ শর্মা। শশাঙ্ক সিংকে মাত্র ৩ রানে তিনি ফেরান। সেই সময় পঞ্জাবের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ৬০। একের পর এক উইকেট হারানোয় ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে নামেন মুশির খান। তবে তিনিও এদিন ব্যর্থ। এক ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন সুয়াশ। 

এমন ভঙ্গুর অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। যদিও এখান থেকেই একটা মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করেন মার্কাস স্টয়নিস। বাধ সাধেন সুয়াশ শর্মা। তাঁর গুগলি বুঝতে না পেরে ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়ে ডাগআউট যাত্রা করেন তিনি। শেষের দিকে আজমতুল্লাহ ওমরজাই অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস না খেললে পঞ্জাবের রান ১০০ পার হতো না। 

শেষমেশ মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় পঞ্জাব কিংস। বেঙ্গালুরুর হ্যাজেলউড এবং সুয়াশের শিকার ৩ উইকেট। যশ দয়াল ২টি, ভুবনেশ্বর কুমার ও রোমারিও শেফার্ড পান ১টি উইকেট। ফাইনালে উঠতে গেলে আরসিবি'র সামনে লক্ষ্য মাত্র ১০২ রান।

উল্লেখ্য, চারবার ফাইনাল খেললেও এখনও আইপিএল জেতা হয়নি বেঙ্গালুরুর। বিরাটের ক্যাবিনেটে অজস্র ট্রফি থাকলেও আইপিএল খেতাব নেই। এবার যেভাবে ছুটছে আরসিবি, তাতে মনে হচ্ছে, ফাইনাল জিতেই ট্রফিতে চুমু খাবেন কিং কোহলি।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন