সমকালীন প্রতিবেদন : তীব্র গরমে টানা এসি চালালেও, হু হু করে কমবে আপনার বাড়ির ইলেকট্রিক বিল! কিভাবে? এসির সঙ্গে কি ফ্যান চালানো উচিত? চালালেও কততে থাকা উচিত ফ্যানের স্পিড? ৯০ শতাংশ মানুষ যা জানেন না, আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে সেই টিপস্ই তুলে ধরবো আমরা। মোটেই গল্প নয়। এটাই খাঁটি বাস্তব।
তীব্র গরমে এসি ছাড়া থাকাও যায় না। আবার এসি চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় আসে ইলেকট্রিক বিলের খরচ! প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চললে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই সমস্যার সহজ সমাধান একটাই, এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালানো। তবে এরও একটা সঠিক নিয়ম রয়েছে। আর সঙ্গে দরকার বুদ্ধি।
কেন এলো বুদ্ধির কথা? কারণ, অনেক মানুষ এসি চালিয়ে ফুল স্পিডে ফ্যান চালান। প্রথমত, অনেকেই মনে করেন এসি চালানোর সময় ফ্যান চালিয়ে রাখলে বাড়তি খরচ হয়। কিন্তু আসলে, সিলিং ফ্যান এসি-র ঠান্ডা হাওয়াকে ঘরের প্রতিটা কোণে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। ফলে এসিকে অতিরিক্ত ঠান্ডা করতে হয় না।
কিন্তু, যদি আপনি ফ্যানের স্পিড ৫ বা ৬ করে চালান, তাহলে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ খরচ হয়। শুধু তাই নয়, ঠান্ডা হাওয়া খুব দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে এসির কনডেনসার বারবার ঘুরে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। তাই ফ্যানের স্পিড রাখুন ২ অথবা ৩-এ। এতে ঘর ঠান্ডা করতে আপনার এসি কম সময় নেবে।
একইসঙ্গে এসির টেম্পারেচারটাও ঠিকভাবে সেট করুন। অনেকেই ভাবেন, ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ঘর ঠান্ডা রাখতে যথেষ্ট। কিংবা ১৬-১৮। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, এই মাত্রা এসি-র ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে? তাহলে কি করণীয়? আপনি ২৬ বা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসি চালান।
একইসঙ্গে ফ্যানকে মাঝারি স্পিডে রাখুন, তাহলে ঘর থাকবে আরামদায়ক ঠান্ডা এবং বিদ্যুৎ খরচও হবে অনেকটাই কম। ট্রাই করে দেখুন। বিভিন্ন গবেষণাতেও এটা কিন্তু প্রমাণিত যে, এসি ও সিলিং ফ্যান একসঙ্গে সঠিক নিয়মে চালানো হলে যা বিল আসে, তা শুধু এসি চালানোর চেয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে।
মনে রাখবেন, এসি আর ফ্যানের যুগলবন্দীতে যা বেনিফিট পাচ্ছেন, তার সঙ্গে আরও কতগুলো টিপস্ আপনাকে মেনে চলতে হবে। যেমন দিনেরবেলা ঘরে সূর্যের আলো ঢোকার পর্দা বা কার্টেন ব্যবহার করে বন্ধ রাখুন। এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। দরজা জানলা সঠিকভাবে বন্ধ রাখুন। আর দেখুন কামাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন