সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএলের মাঝেই জসপ্রীত বুমরাহর মুকুটে যোগ হল রঙিন পালক। একা বুমরাহই নন, বিরল সম্মানে ভূষিত হলেন ভারতের মহিলা দলের ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মন্ধানাও। ক্রিকেটের বাইবেল হিসেবে খ্যাত উইজডেনের বিচারে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তকমা জুটল দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের কপালে।
২০২৪ সালের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন দেশের ৩১ বছর বয়সী স্টার পেসার। বিবেচিত সময়ে ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। বিশেষ করে বলতে হবে আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের শিরোপা জয়ে তিনি ছিলেন প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট।
উইজডেন বুমরাহর প্রশংসায় তাদের অ্যালম্যান্যাকে লিখেছে,'ভারতীয় ক্রিকেটের ঘটনাবহুল বছরে তাঁদের সাফল্য প্রায় পুরোপুরি না হলেও একটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল-বুমরাহর হাতে বল ছিল কি ছিল না! ২০২৪ সালে বুমরাহ যেভাবে নিজেকে আলাদা করে তুলেছেন, তা খুব কম ক্রিকেটারই পেরেছেন।'
চোটের কারণে বুমরাহ শেষ মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এই বছর। তবে তিনি দুবাই আন্তর্জাতিক ত্রিকেট স্টেডিয়ামে, ভারত-পাকিস্তান মহারণে হাজির ছিলেন মাঠে। বুমরাহ গতবছর আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার, আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন।
পাশাপাশি, তিনি আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ টেস্ট দল ও টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা করে নিয়েছেন। পদক ও স্মারক টুপি পেয়েছেন বুমরাহ। সেই চার স্বীকৃতিই তিনি আইসিসি-র চেয়ারম্যান জয় শাহর হাত থেকে নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, স্মৃতি মন্ধানা ২০২৪ সালে পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, যার চারটিই ছিল একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ছিল দেখার মতো দাপট।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু প্রথমবার উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল তাঁর নেতৃত্বেই। বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার নিকোলাস পুরান। উইজডেনের ‘বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটার’-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের গাস অ্যাটকিনসন, জেমি স্মিথ, সোফি একলস্টোন, লিয়াম ডসন ও ড্যান ওর্যাল।
১৮৬৪ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাক। ক্রিকেট জগতে এই প্রকাশনা ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ নামেই পরিচিত। ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল এই অ্যালমানাকের ১৬২তম সংস্করণ এটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন