সমকালীন প্রতিবেদন : দোলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল হাবড়া পুলিশ। মুখে রং মাখা অবস্থায় ঢোকা যাবে না সোনার দোকানে। শনিবার উৎসব সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিল হাবড়া পুলিশ প্রশাসন। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আর্থিক লেনদেনকারী সংস্থাতেও হোলির দিন বা আগে পরে মুখে রং মেখে প্রবেশ করা যাবে না। হাবড়ার এসডিপিও প্রসেনজিৎ দাস এদিন একথা জানিয়েছেন।
আসন্ন হোলি উপলক্ষে শনিবার হাবড়ার হিজলপুকুরে একটি অনুষ্ঠানগৃহে উৎসব সমন্বয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শহরের সব ক'টি বসন্ত উৎসব কমিটিকে আহ্বান জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন জনপ্রতিনিধিরাও। বারাসত জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হোলি উৎসব উপলক্ষে সতর্কতামূলক লিফলেট বিলি করা হয়।
দোলের দিন শিশু ও মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হোলির দিন বা আগে পরে মুখে রং মেখে কোনও সোনার দোকানে প্রবেশ করা যাবে না। পাশাপাশি, আর্থিক লেনদেনকারী সংস্থার অফিসেও মুখে রং মাখা অবস্থায় প্রবেশ করা যাবে না।
হোলি উপলক্ষে উৎসব সমন্বয় কমিটির বৈঠকের পর হাবড়া থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জ অনুপম চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, 'হোলি বা বসন্ত উৎসব উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল হাবড়া মূলত বাণিজ্যিক শহর। অসংখ্য ছোট বড় সোনার দোকান রয়েছে। সোনার দোকানের মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, হোলির আগে বা পরে মুখে রং মেখে কেউ সোনার দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। কোনও অঘটন ঘটে গেলে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তাতে সমস্যা তৈরি হয়।'
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'হোলির আগে পরে মুখে রং মাখা অবস্থায় আর্থিক লেনদেনকারি সংস্থার অফিসেও ঢোকা যাবে না।' প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোলির দিন শিশু ও মহিলাদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকবে টহলদারি পুলিশের বাহিনী। বাইক রোমিওদের রুখতেও পুলিশের বিশেষ দল রাস্তায় থাকছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন