সমকালীন প্রতিবেদন : মৌনি আমাবস্যা। ব্রহ্ম মুহূর্তে অমৃতস্নান। ধুয়ে মুছে যাবে পাপ। লক্ষ্য শাহী স্নান, মহাকুম্ভে রেকর্ড ভিড়। মৌনি আমাবস্যায় গঙ্গার জল অমৃত হয়ে যায়। স্নানের আলাদাই তাৎপর্য এই দিনে। কিভাবে করবেন পুজো? ব্রহ্ম মুহূর্ত কখন? মৌনি অমাবস্যায় থাকতে হবে মৌন? জানুন পুজো বিধি। কি করলে পাবেন সাফল্য? কখন ছাড়বেন বিছানা? এই প্রতিবেদন থেকে জানুন ডিটেইলে।
রাত পোহালেই মৌনী অমাবস্যা। ২৯ এ জানুয়ারি ব্রহ্ম মুহূর্ত পড়ছে, ভোর ৫ টা ৩০ এ। সকাল ৬ টা ২১ মিনিট পর্যন্ত সময়কাল এই ব্রহ্ম মুহূর্ত থাকবে। মৌনী অমাবস্যায় গঙ্গার জল অমৃত হয়ে যায়। সেই কারণে হিন্দুধর্ম অনুসারে মৌনী অমাবস্যায় পূ্ণ্যস্নান বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ। যে অমৃতস্নানের লোভে পড়েই কোটি কোটি মানুষের ভিড় মহাকুম্ভে।
স্নান ছাড়াও এদিন প্রয়াত পিতৃপুরুষের নামে তর্পণ ও দান করার রীতি প্রচলিত আছে। মূলত, মাঘী অমাবস্যার দিনটা মৌনী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এদিন উপবাস রেখে স্নান করেন অনেকে। এমনকি মৌনী অমাবস্যায় মৌনতা বজায় রাখার রীতিও প্রচলিত আছে। এদিন যতটা সম্ভব মৌনতা বজায় রাখলে মানসিক শান্তি লাভ করা সম্ভব।
সূর্যদেব ও প্রয়াত পূর্বপুরুষদের নামে পুজো করার জন্যেও এই দিনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তবে, মৌনী অমাবস্যার দিন ব্রাহ্ম মুহূর্তে বিছানা ছাড়ুন। গঙ্গাস্নান সম্ভব না হলে নিজের স্নানের জলে একটু গঙ্গাজল মিশিয়ে নিন। স্নানের পর সূর্য প্রণাম করুন, ১০৮ বার তুলসী গাছ প্রদক্ষিণ করুন। দুঃস্থদের মধ্যে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী খাদ্য, বস্ত্র দান করুন।
জানা যায়, মৌনী অমাবস্যায় মৌনতা বজায় রাখলে শুভ ফল পাওয়া যায়। কিন্তু সারাদিন পুরোপুরি মৌন থাকা যদি সম্ভব নাও হয়, তা হলে এদিন কাউকে খারাপ কথা বলবেন না বা কারোর ওপর চেঁচামেচি করবেন না। এদিন যতটা সম্ভব কম ও আস্তে কথা বলুন। পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পেতে মৌনী অমাবস্যায় হলুদ রঙের পোশাক পরুন। নিজের পূর্বপুরুষের নামে ধ্যান করুন।
এদিন সকালে জলের মধ্যে একটু হলুদ গুলে নিয়ে তা বাড়ির মূল দরজায় ছিটিয়ে দিন। তার আগে দরজার চৌকাঠ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এতে পজিটিভ এনার্জি ঘরে প্রবেশ করবে। আর হ্যাঁ, মৌনী অমাবস্যায় নারায়ণের পুজো করতে পারেন। অশ্বত্থ গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালানোও শুভ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন