সমকালীন প্রতিবেদন : তপশিলি সম্প্রদায়ভূক্ত না হয়েও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তপশিলি জাতিগত শংসাপত্র বের করে তার অপব্যবহার করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে বনগাঁর ৫ পরিচিত ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যান উন্নয়ন দপ্তর থেকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হল।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে ফের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হল। সংঘের পক্ষে প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, মনোজ টিকাদার সহ অন্যান্য এদিনও অভিযোগ করেন, বনগাঁ পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকার ৪ জন প্রাক্তন ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি এবং হাইস্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক এই মিথ্যাচার করেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা স্কুলস্তরে পড়াশোনার সময় নিজেদেরকে জেনারেল কাস্ট হিসেবে ঘোষণা করলেও রাজনৈতিক এবং অন্যান্য সুবিধা পেতে অসৎ উপায়ে তপশিলি জাতির শংসাপত্র বের করে তার অপব্যবহার করেছেন। আরটিআই করে তারা এই বিষয়ে তথ্য জোগাড় করেছেন বলে দাবি করেছেন মতুয়া মহা সংঘের কর্তারা।
এব্যাপারে গত ২৬ নভেম্বর প্রথম মহকুমা শাসকের কাছে এব্যাপারে তদন্তের আবেদন জানান। পাশাপাশি, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যান উন্নয়ন দপ্তরেও একই আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনে সাড়া মিলেছে বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন তাঁরা জানান, অনগ্রসর শ্রেণীকল্যান উন্নয়ন দপ্তরের সচিব এব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক এবং বনগাঁর মহকুমা শাসককে নির্দেশ দিয়ে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন। এদিন ফের মতুয়া মহা সংঘের পক্ষ থেকে বনগাঁর মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করে এব্যাপারে তদন্তের আবেদন জানানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন