সমকালীন প্রতিবেদন : ফের ধাক্কা খেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস! ২০২৫ এও মুক্তি ঘিরে অনিশ্চয়তা? ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য ঢোকে, বাংলাদেশিদের জন্য বাড়ানো হবে ভিসাও। সুসম্পর্ক ফিরুক চাইছে দুই দেশই। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার কি বন্ধ হল? চিন্ময় কৃষ্ণ দাস নিস্তার পেলেন? নাকি, ভারত থেকে একের পর এক সুবিধা নিয়ে, চলতি ইস্যুগুলি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রেখে দিল ওপার বাংলা? আসল ফ্যাক্টটা জানুন।
সোমবার ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। যে বৈঠকের পর বাংলাদেশ আশা করছে, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বৃদ্ধি করবে নয়া দিল্লি। অথচ, ওই বৈঠকের একদিন পরেই চট্টগ্রামের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস খেলেন বড়সড় ধাক্কা। সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের মামলাটি এগিয়ে আনার আবেদনের শুনানিই হল না। খারিজ করে দেওয়া হল শুনানির আবেদন।
কিন্তু কেন আবেদন খারিজ করা হলো? কি কারণ দর্শানো হচ্ছে? বাংলাদেশের গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, চিন্ময়ের মামলা এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছিলেন এক আইনজীবী। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আবেদনের কোনও শুনানিই হয়নি বুধবার। শুনানির আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী আইনজীবীর অভিযোগ, চট্টগ্রামের কোর্টে বাকি আইনজীবীরা তাঁর আবেদনের বিরোধিতা করেছেন এবং বিচারকের সামনে সম্মিলিতভাবে চিৎকার করে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছেন।
যদিও বাধা দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি কোনও আইনজীবী। অভিযোগ, ঢাকা থেকে যে আইনজীবী চিন্ময়কৃষ্ণের মামলার শুনানির জন্য গিয়েছিলেন, তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় ওকালতনামা ছিল না। সেই কারণেই নাকি আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল দুটো দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকে জোর দিচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পোক্ত করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াচ্ছে, বাংলাদেশিদের কথা ভাবছে ভারত।
এই সাম্প্রতিক অশান্তির আবহেও ভারত নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে। সরাসরি অ্যাটাক স্ট্র্যাটেজিতে না গিয়ে, বাংলাদেশের সাথে বসে আলোচনার পথ বেছে নিচ্ছে। কিন্তু, বাংলাদেশ কি করছে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চোখের সামনে সবটা ঘটছে। সবাই জানে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি কোথা থেকে এবং কিভাবে। এতদূর জল গড়ালো কেন সেটাও জানা।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নিপীড়ন, অত্যাচারের কথাও জেনেছে গোটা বিশ্ব। এই ইস্যুতেই ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক মূলত বিগত কয়েকদিনে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাহলে সেই প্রেক্ষাপটে যখন ফের দুটো দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন মূল ইস্যু, যেখান থেকে সমস্যার সূত্রপাত, সেটা সমাধানে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার কতটা কি পদক্ষেপ করল, সেটা অবশ্যই ভাববার বিষয়।
আসলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে একের পর এক সুবিধা নিলেও, ভারত বিদ্বেষী মনোভাব ওপার বাংলার গভীরে পৌঁছে গেছে। তাই সেটা সরানো কঠিন। আর তার ফলশ্রুতিতেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এর মতো হিন্দু সন্ন্যাসীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে বাংলাদেশের বুকে। কিন্তু এর শেষ কোথায়? কেউ জানে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন