সমকালীন প্রতিবেদন : গত কয়েকবছর ধরে ভারতীয় দলের বোলিং ইউনিটকে বিশ্বসেরা করে তুলেছেন জশপ্রীত বুমরাহ। আজ তিনি নিঃসন্দেহে বিশ্বসেরা বোলারদের মধ্যে একজন। টেস্ট থেকে ওডিআই এবং টি-২০ যেকোনও ফরম্যাটেই একইভাবে ভয়ঙ্কর এই ভারতীয় ফাস্ট বোলার। তবে তাঁর ক্রিকেট জীবনের শুরুটা ততটাও সহজ ছিল না। আসলে ছোটবেলায় প্রথাগতভাবে ক্রিকেট শেখা হয়নি বুমরাহর।
গুরুত্ব দিয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করার পরও পাত্তা পেতেন না তিনি। কেউ কখনও তাঁর ভুলও শুধরে দিতেন না। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের পর এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ক্রিকেটজীবনের গোড়ার কথা। বুমরাহ বলেছেন, তাঁর অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন দেখে অনেকে বলেছিলেন, ছ’সাত মাসের বেশি তিনি খেলতে পারবেন না। কিন্তু আজ তিনি সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে দাপিয়ে বোলিং করছেন সমস্ত ফরম্যাটেই।
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে যোগ দেওয়ার পর প্রথম দিকে খেলার সুযোগই পেতেন না বুমরাহ। সাজঘরে বসে থাকতে হত অধিকাংশ দিন। তা নিয়ে বুমরাহর একটা চাপা আফসোস রয়েছে। তবে সেই থেকেই বড় হওয়ার জেদ চেপে বসে তাঁর মনে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, কীভাবে এমন ভয়ঙ্কর বোলিং করতে শিখলেন বুমরাহ?
এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘সব কিছুই টেলিভিশন দেখে শিখেছি। বিভিন্ন জিনিস দেখে করার চেষ্টা করতাম। নিজেই সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতাম। এখনও সেভাবেই নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করি। এই পদ্ধতিতে এখনও উপকৃত হই। নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং সাহসে নির্ভর করতে পছন্দ করি। অনেক পরে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছি। এভাবেই আমার ক্রিকেট শুরু।’’
তিনি বলেন, "আসলে আমার উপর কারও ভরসাই ছিল না প্রথম দিকে। আমার বল করার ধরন দেখে সকলে মনে করতেন, বেশি দিন আমার পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। ছ’সাত মাসের বেশি খেলতে পারব না। তাই আমার পিছনে সময় খরচ করার কথাও কেউ ভাবতেন না। নিজে সব করতে শিখে ভালই হয়েছে। নিজেকে নিজের মতো করে উন্নত করতে পেরেছি। আত্মবিশ্বাস, নিজের চেষ্টার প্রতি ভরসা এবং পরিশ্রম আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। এটাই সবচেয়ে ভালো হয়েছে।’’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন