সমকালীন প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গলের দাপটে শনিবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মেলেনি। শহর থেকে শহরতলির বেশ কিছু জায়গাতে হালকা বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গলের সরাসরি প্রভাব পড়বে না বাংলায়। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবে বাংলায় উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে থাকবে মেঘলা আকাশ।
পাশাপাশি, উপকূল এলাকায় হালকা ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা-সহ উপকূল সংলগ্ন চার জেলাতে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে দুই ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় হাল্কা বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনায় বাধা সৃষ্টি হল। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৩ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, কলকাতায় স্বাভাবিকের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বেড়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতেও। কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলাতে।
শনিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। রবিবারও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। কলকাতাতেও হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে কুয়াশার হালকা চাদর থাকবে দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলাতেও কুয়াশার সম্ভাবনা। আপাতত ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তেই পরিষ্কার আকাশের দেখা মেলে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবারই ল্যান্ডফল হতে চলেছে ফেঙ্গলের। তার অভিমুখ তামিলনাড়ুর দিকে। সে রাজ্যের মহাবলীপুরমের কাছে আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত মিলেছে এই ঝড়ের। পন্ডিচেরি থেকে ২৩০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং চেন্নাই উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ফেঙ্গল।
মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এজন্য সে রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকাতে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। আগামীদিনে এর প্রভাবে ফের বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতির দুর্যোগ থেকে এখনই রেহাই মিলছে না। এতে শীতের প্রভাব কতটা থাকে, সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন