সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারার পর টি-২০ সিরিজেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়ালো বেঙ্গল টাইগাররা। এই ম্যাচের শুরুতে ভারতের ৩ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন টাইগাররা।
কিন্তু রিঙ্কু সিং আর নবাগত নীতিশ রেড্ডি দলকে শুধু খাদের কিনারা থেকেই তুললেন না, বরং স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় গড়ে দিলেন। দুজনের মারমুখী ব্যাটিং এদিন উপভোগ করেছেন দিল্লির দর্শকরা।
ম্যাচের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ভারতের দেওয়া বিরাট টার্গেট তাড়া করতে নেমে ন্যূনতম লড়াইটাও করতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। একটা সময়ও মনে হয়নি, তাঁরা রান তাড়া করছেন। ফলে প্রত্যাশিত ফলাফল এসেছে ভারতের কাছে।
৮৬ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুরে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। বুধবার এই ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
শুরুতে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত প্রাথমিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। যদিও এরপর আর বিপদ বাড়তে দেননি নীতিশকুমার রেড্ডি এবং রিঙ্কু সিং। তাঁরা রীতিমতো টিম রোলার চালিয়ে দেন বাংলাদেশি বোলারদের উপরে। ১০ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলে ভারত।
শেষমেষ রিঙ্কু এবং নীতিশ আউট হলেও এগিয়ে নিয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া এবং রিয়ান পরাগ। ১৯ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। অন্যদিকে, মাত্র ৬ বল খেলে ১৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে যান রিয়ান।
জবাবে বাংলাদেশের শুরুটা খারাপ হয়নি। প্রথম ওভারে অর্শদীপ সিংহের বলে ১৪ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। দেখে মনে হচ্ছিল, লড়াই করবে বাংলাদেশ। কিন্তু ঠিক তখনই নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান অর্শদীপ।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে ইমনকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর শান্তকে আউট করেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং লিটনকে আউট করেন বরুণ চক্রবর্তী। তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট নেন অভিষেক শর্মা। এরপর রিয়ান পরাগ নিজের প্রথম ওভারেই আউট করেন মেহেদিকে।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ৮৬ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ জেতে ভারত। টি২০-তে এটাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন