সমকালীন প্রতিবেদন: খুলে দুষ্টুমি করার অভিযোগে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর তলপেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠলো স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে স্কুলে আসছেন না অভিযুক্ত শিক্ষক।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর চিকনপাড়া আরপি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সায়ন্তিকা বিশ্বাস এবং তার এক সহপাঠী স্কুলের ভেতরে পেন নিয়ে খেলা করছিল। আর এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক সৌমেন মৈত্র।
অভিযোগ, এর পরেই বছর আট বয়সের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সায়ন্তিকার পেটে লাথি মারেন ওই শিক্ষক। একই সঙ্গে তার সহপাঠী কে থাপ্পড়ও মারা হয়। এই ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এমন অমানবিক ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঠাকুরনগর এলাকায়।
এই ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় স্কুলের পক্ষ থেকে এরপর গোটা ঘটনা তার অভিভাবকদের জানানো হয়। সায়ন্তিকার বাবা-মায়ের অভিযোগ, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ক্লাসে পড়া না পারার অভিযোগে তাঁদের মেয়ে বা অন্য ছাত্রছাত্রীদের জুতো ছুড়ে মারার অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
স্কুলের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছেন। এমন ঘটনা আর ঘটবে না, স্কুলের তরফ থেকে এমন জানানো হয়। কিন্তু তারপরেও ওই শিক্ষকের আচরণের কোন পরিবর্তন ঘটেনি, এদিনের ঘটনা তারই প্রমাণ। এমনই বক্তব্য অভিভাবকদের।
এই ঘটনার বিষয় গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবার। এব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাকচী জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্কুলে আসছেন না অভিযুক্ত শিক্ষক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন