সমকালীন প্রতিবেদন : চার দেওয়ালের বিভিন্ন সময় নারী ও পুরুষের ঝগড়া লেগেই থাকে। নানা কারণে সেসব অশান্তি চলে। অনেক সময় সামান্য মতবিরোধ থেকে সম্পর্ক পৌঁছে যায় ভাঙনের পর্যায়ে। তবে কিছু কাজ করলেই সম্পর্কের অশান্তি রোধ করা যায়। খুবই সহজে সেইসব করে সম্পর্কের সুখের চাবিকাঠি খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে নিয়ম করে ফোনে কথা বললে আর সঙ্গীকে উপহারে ভরিয়ে দিলেই সম্পর্ক মজবুত করা যায় না। কারণ, প্রেম হল এমন এক অনুভূতি, যা আবেগের সংমিশ্রণে তৈরি হয়। তাই প্রেমের গভীরতা থেকে বোঝা যায় যে, সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতটা মজবুত।
সম্পর্কের স্থায়িত্ব শুধু ভালবাসার উপর নির্ভর করে না। ভালবাসা ছাড়াও সম্পর্ক মজবুত করতে প্রয়োজন বেশ কিছু বিষয়। আর তার মধ্যে অন্যতম হল সময় দেওয়া। যেকোনো সম্পর্ককে লালন পালন করতে হলে একে অপরকে যথেষ্ট সময় দিতে হয়। দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য।
তাই দাম্পত্য জীবনে পা বাড়ানোর আগে নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তোলা উচিত। এছাড়াও, মিলেমিশে থাকার অভ্যাস যেকোনো সম্পর্ককে সুখকর করে তুলতে পারে। পাশাপাশি, যেকোনো কাজে একে অপরকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা উচিত। সেটা অফিসের কাজ হোক বা রান্নার কাজ।
তবে দাম্পত্য জীবনকে সুখকর করে তুলতে হলে রোমান্স বজায় রাখা জরুরি। কারণ, রোমান্স বজায় রাখলে তবেই দাম্পত্য সুখকর হয়। এক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়মিত কাটানোর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
এছাড়াও, পুরানো বিবাদ ভুলে যাওয়ার অভ্যাস সম্পর্ককে অনেক মধুর করে তোলে। তাই প্রেম করে বিয়ে করলে বিয়ের আগে ঘটে যাওয়া সব পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়াটাই শ্রেয়। এতে সম্পর্ক থাকে মধুর। তবে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখতে চায়।
তাই একটি সম্পর্ককে সুখকর বানাতে হলে সবার আগে এই অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এটাই সম্পর্কের দৃঢ়তা প্রদান করে।
ই-সমকালীনের এই প্রতিবেদনটি ইন্টারনেটে উপলব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। বাস্তব জীবনে সবার ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলি নাও মিলতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন