সমকালীন প্রতিবেদন : দিন দিন জনপ্রিয়তা বেড়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের। এখন বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ক্রিকেট লীগের পরিচিতি পেয়েছে আইপিএল। তবে জানলে অবাক হবেন যে আইপিএল শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা নয়, রোজগারের দারুন উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। এখন আইপিএল আয়োজন করে বিপুল টাকা আয় করছে বিসিসিআই।
যদি পরিসংখ্যান বিচার করা হয়, তাহলে দেখা যায় যে, ২০২৩ সালের আইপিএল আয়োজন করে বিসিসিআইয়ের রোজগার হয়েছিল ৫,১২০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের তুলনায় এই রোজগার বেড়েছিল ১১৬ শতাংশ। কারণ, ২০২২ আইপিএল মরশুমের পর বিসিসিআইয়ের রোজগার ছিল ২,৩৬৭ কোটি টাকা।
বোর্ডের এই রোজগার বৃদ্ধির জন্য মূলত বিসিসিআইয়ের মিডিয়া স্বত্ব এবং স্পনসরশিপই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। এই মিডিয়া সত্ব এবং স্পনসরশিপ ২০২৭ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সঙ্গে থাকার কথা। যার শুরুটা হয়েছিল ২০২৩ সালে। আর, এসবের দৌলতে বিসিসিআই রেকর্ড লাভের মুখ দেখেছিল।
এর মধ্যে শুধুমাত্র মিডিয়া স্বত্ব থেকেই বিসিসিআইয়ের বার্ষিক আয় হয়েছে ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা। বিসিসিআইয়ের আইপিএল দেখানোর টেলিভিশন স্বত্ব পেয়েছে ডিজনি স্টার। তারা বার্ষিক ২৩,৫৭৫ কোটি টাকায় ওই স্বত্ব পেয়েছে।
অন্যদিকে, ভায়াকম ১৮-এর মালিকানাধীন জিও সিনেমা বার্ষিক ২৩,৭৫৮ কোটি টাকায় ২০২১ সালে ম্যাচ দেখানোর ডিজিটাল স্বত্ব পেয়েছে। আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ পেয়েছে টাটা সন্স। তারা বার্ষিক ২,১০০ কোটি টাকায় পাঁচ বছরের জন্য এই স্বত্ব কিনেছে।
টাটা ছাড়াও মাইসার্কেল ১১, রুপে, অ্যাঞ্জেলওয়ান, সিয়েট, ব্যান্ডওয়াগনের মত নানা সংস্থা আছে সহযোগী স্পনসরের ভূমিকায়। তারা এজন্য বিসিসিআইকে দিয়েছে বার্ষিক ১,৪৮৫ কোটি টাকা। ২০২২ আইপিএলে বিসিসিআইয়ের মিডিয়া স্বত্বের মূল্য ছিল ৩,৭৮০ কোটি টাকা। সেটাই ২০২৩ সালে ১৩১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮,৭৪৪ কোটি টাকা।
শুধু এটাই নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি হিসেবে ২০২৩ সালে বিসিসিআইয়ের আয় হয়েছে ২,১১৭ কোটি টাকা। তার আগের বছর পরিমাণটা ছিল ১,৭৩০ কোটি টাকা। আর স্পনসরশিপ থেকে আয় আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ২ শতাংশ। সব মিলিয়ে এটাই দেখা যাচ্ছে যে, আইপিএল আয়োজন করে চরম লাভের মুখ দেখছে বিসিসিআই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন