সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতের অনেক ক্রিকেটার বিদেশি দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কেউ আবার ভারত ছেড়ে বিদেশে গিয়ে ক্রিকেটার হয়েছেন। আর এই তালিকায় এবার নাম জুড়ে গেল হ্যারি সিংয়ের। হ্যারির বাবা আরপি সিং ভারতের হয়ে সাদা বলের ফরম্যাটে খেলেছেন।
আরপি সিং ছিলেন বাঁহাতি পেসার। তিনি ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটান ভারতের হয়ে। অজিদের বিরুদ্ধে দুটি ওয়ানডে ম্যাচে খেলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। ৫৯টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১৫০টি উইকেট।
পাশাপাশি, ব্যাট হাতেও খুব একটা খারাপ ব্যাটার ছিলেন না। করেছিলেন মোট ১৪১৩ রান। ১৯৯১ সালে দলীপ ট্রফিতে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। মধ্যাঞ্চলের হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন তিনি।
অবসর নেওয়ার পরে ক্রিকেট কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন আরপি সিং। ১৯৯০'এর দশকে তিনি ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন। ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হন। কাজ শুরু করেন ইসিবির হয়েও। তাঁর ছেলে হ্যারিও এই মুহূর্তে খেলছেন ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়েই।
এই বছরের জুলাইতে লিস্ট-এ ম্যাচে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। এখনও পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছেন এই ২০ বছর বয়সী ক্রিকেটার। ১২.৪২ গড়ে করেছেন ৮৭ রান। পাশাপাশি, অফ স্পিন বোলিং করেও তিনি নিয়েছেন দুটি উইকেট। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়েও খেলেছেন তিনি।
এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল। সেখানে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। আর এই টেস্টেই সুযোগ পেয়েছেন হ্যারি সিং। প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বাদশতম ব্যক্তি অর্থাৎ টুয়েলভথ ম্যান হিসেবে রয়েছেন হ্যারি সিং। ঘটনাচক্রে তিনি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আরপি সিং সিনিয়রের পুত্র।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে চলতি ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্টে মাঠে ইংল্যান্ডের হয়ে ফিল্ডিং করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ইংল্যান্ড দল টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সময়ে মাঠে তাদের হয়ে ফিল্ডিং করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটার হিসেবে হ্যারি কতটা সফল হতে পারবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন