সমকালীন প্রতিবেদন : ২০০৭ সালের পর ২০২৪। দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে চতুর্থবার বিশ্বজয় করল ভারতীয় ক্রিকেট দল। শনিবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭ রানে জয়ের সুবাদে তৈরি হয়েছে একাধিক নজির। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা ব্যক্তিগতভাবে কীর্তি গড়ার পাশাপাশি দল হিসাবেও একাধিক নজির গড়েছে ভারত।
প্রথমত, এবার বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচ হারেনি ভারতীয় দল। গ্রুপ পর্বে কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়। তবে ফাইনাল-সহ বাকি আটটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম দেশ হিসাবে অপরাজিত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত।
এছাড়াও, এদিন তৃতীয় দেশ হিসাবে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত। ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোনও দেশের এই কৃতিত্ব নেই। এর পাশাপাশি, ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন রোহিত শর্মা।
২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়ন দলের একমাত্র সদস্য হিসাবে এবারের দলে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত। এই কৃতিত্ব ভারতের আর কোনও ক্রিকেটারের নেই। শনিবার ভারতের তৃতীয় অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপ জিতলেন রোহিত।
কপিল দেব এবং ধোনির পর তিনি হলেন তৃতীয় অধিনায়ক, যিনি সিনিয়র পর্যায় দেশকে বিশ্বসেরা করলেন। এছাড়াও, এদিন বিশ্বের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে ৫০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়েছেন রোহিত।
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে পাকিস্তানের বাবর আজমের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে অধিনায়ক হিসাবে ৮ টি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেললেন রোহিত। আটটি ফাইনালেই জয় পেলেন অধিনায়ক রোহিত। এমন নজির আর কারও নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে ভারত করেছে ১৭৬ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে এর আগে কোনও দল এত রান করতে পারেনি। ২০২১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চের দলের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন রোহিতেরা।
৩৭ বছরের রোহিত হলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী প্রবীণতম অধিনায়ক। এর আগে আর কোনও অধিনায়ক এই বয়সে দেশকে ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে বিশ্বকাপ জেতার ক্ষেত্রে রোহিত হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রবীণতম অধিনায়ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন