Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

এসএসসি মামলায় চাকরি বাতিল প্রায় ২৬ হাজার

 

SSC-CAC

সমকালীন প্রতিবেদন : এসএসসি মামলায় চাকরি বাতিল হল প্রায় ২৬ হাজার জনের। সোমবারই এই ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। গত তিন বছরে রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এই দুর্নীতি মামলা। 


বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই মামলার রায় ঘোষিত হলো আজ। আর এই রায় নিয়ে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।


গত তিন বছর ধরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় ছিল স্কুলে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে। স্কুলগুলিতে রীতিমতো হুলুস্থুল কাণ্ড পড়ে গিয়েছিল। তবে আজ লোকসভা ভোটের আবহেই ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। 


২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে যে সকল চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এরপরই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।  


আজ এসএসসির রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে মামলার রায় জানানো হয়েছে। 


হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যে সকল ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি বৈধ হতে পারেনা। যার কারণে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।


শুধু তাই নয়, তাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুদ সহ সমস্ত বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের ২০১৬- এর প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। 

বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছেন, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত জারি রাখবে সিবিআই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যে কাউকে হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। 


অন্যদিকে, উচ্চ আদালতের তরফে এসএসসিকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এসএসসির সার্ভারে দ্রুত ওএমআর শিট আপলোডের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 


জানা গিয়েছে, প্রাপ্ত বেতনের ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। ৪ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকের কাছে এই টাকা ফেরত দিতে হবে। পরে জেলাশাসক দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা হাইকোর্টে জমা করবে। 



উল্লেখ্য, পূর্বে এই মামলার দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে পাঁচ হাজার জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে  মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রাপকরা। 


সেই মামলা শীর্ষ আদালত থেকে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পাঠিয়ে ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো এতদিন এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি চলছিল। আজ হাইকোর্টের দেওয়া রায়তে একপ্রকার মাথায় হাত পড়লো চাকরিপ্রাপক এবং রাজ্য সরকারের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন