Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

দীর্ঘক্ষণ ইয়ারফোন ব্যবহারে মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন আপনি!

Using-earphones

সমকালীন প্রতিবেদন : গান শুনতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত সব প্রজন্মের কাছে গানের কদর একইরকম রয়ে গিয়েছে। প্রাচীনকালে গান শোনার জন্য একমাত্র সম্বল ছিল রেডিও। 

তবে প্রযুক্তির উন্নতিতে আস্তে আস্তে তারযুক্ত হেডফোন এবং বর্তমানে ব্লুটুথ হেডফোন মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ট্রামে, বাসে সর্বত্র যাত্রীদের সঙ্গে দেখা যায় এই ইয়ারফোন। তবে জানেন কী, মাত্রাতিরিক্ত হেডফোনের ব্যবহার সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে আপনার? 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সকল মানুষ প্রতিনিয়ত হেডফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের সকলেরই গুরুতর সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে টিনিটাসের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। 

এই রোগে আক্রান্তরা সারাদিনই রিং হওয়ার মতো শব্দ শুনতে পান। আসলে হেডফোন কানের ভিতরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হিয়ার সেলের ক্ষতি করায় এই রোগ দেখা দেয়। অনেকে আবার তারস্বরে গান শোনেন হেডফোনে। 

এর ফলে শ্রবণ ক্ষমতা কমে যায়। এমনকি মানুষ কানে কম শুনতে শুরু করেন। তাই হেডফোন ব্যবহারের সময় সর্বোচ্চ ভলিউম ৬০ শতাংশের বেশি হওয়া কখনোই উচিত নয়। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত হেডফোনের ব্যবহারে কানে ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। 

এর পাশাপাশি, একটানা হেডফোনের ব্যবহারে ইয়ারওয়াক্স জমতে থাকায় কানে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার ফলে কানে ব্যথা, পুঁজ, রক্ত বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া, কানে সারাক্ষণ হেডফোন গুঁজে রাখলে কানের ময়লা বাইরে আসতে পারেনা। 

যার কারণে কানের ভিতরেই ওয়াক্স জমতে থাকে এবং ইনফেকশনও হতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত হেডফোনের ব্যবহার মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে ব্রেনের সূক্ষ নার্ভের ক্ষতি করে। এর ফলে ডিজেনারেটিভ ডিজিজ হতে পারে। 

যার কারণে স্মৃতি আবছা হতে থাকে। রাতেও হেডফোন কানে দিয়ে ঘুমানো উচিত নয়। এতে কান এবং মস্তিষ্ক দুই–ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।‌ ফলে অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারকারীরা এখন থেকেই সাবধান হোন।







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন