Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪

১৩ কোটি বছর আগে মহাকাশে বিশেষ ঘটনায় উৎপত্তি ঘটে সোনার ভান্ডারের

Treasure-of-gold

সমকালীন প্রতিবেদন : একাধিক নিউট্রন স্টারের সংঘর্ষের ফলেই সৃষ্টি হয় সোনার। কিন্তু এই নিউট্রন স্টার আবার কি! বিজ্ঞানীদের মতে, কোনও নক্ষত্রের জ্বালানি যখন ফুরিয়ে যায়, সেটি নিউট্রন নক্ষত্রে পরিণত হয়। এর পর ওই নক্ষত্রের উপরিভাগ ধীরে ধীরে ক্ষয় পেতে শুরু করে এবং ছাইয়ের মতো উড়ে যেতে শুরু করে। 

অন্তঃস্থলের যে অংশটি রয়ে যায়, সেটির ঘনত্ব আরও বেড়ে যায়। শুধুমাত্র নিউট্রনেই সমৃদ্ধ হয় না, মৃত নক্ষত্রের পড়ে থাকা অন্তঃস্থলে প্রোটনও থাকে। এর পর এমন দু'টি নিউট্রন নক্ষত্রের মধ্যে যখন সংঘর্ষ বাধে, নিউট্রন সমৃদ্ধ পদার্থ মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

মহাশূন্যে থাকা অণুগুলি ওই নিউট্রনকে শুষে নিতে দেরি করে না এক মুহূর্ত। এর ফলে যে ভারী উপাদানের সৃষ্টি হয়, সেগুলি স্থিতিশীল প্রকৃতির হয় না। বরং ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে তা থেকে সোনা এবং ইউরেনিয়ামের সৃষ্টি হয়।

আর এবার এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়েই গবেষণা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ২০১৭ সালে আকাশে যে আলোর ছটা দেখা গিয়েছিল, সেটিও এমনই একাধিক নিউট্রন স্টারের ধাক্কার এক ঘটনা। সেটিকে একটি বিশেষ নামে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

তাঁদের দাবি, সেই সময় পৃথিবী থেকে ১৩ কোটি আলোকবর্ষ দূরে দু'টি মৃত নক্ষত্রের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই থেকেই সোনা, ইউরেনিয়াম এবং অন্য ভারী উপাদানগুলির সৃষ্টি বলে মত বিজ্ঞানীদের। আর এই ঘটনা নিয়ে এবার শুরু হয়েছে গবেষণা। 

এর ফলে পৃথিবীতে সোনা এলো কোথা থেকে, এই গবেষণা থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্যও মিলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। এর আগে, ইউনিভার্সিটি অফ বার্মিংহামের গবেষক ম্যাট নিচোল জানিয়েছিলেন, এরকম বিস্ফোরণ থেকে পৃথিবীর মোট ভরের তুলনায় ১০০০ গুণ ভারী উপাদান সৃষ্টি হওয়ার নজিরও রয়েছে। অর্থাৎ এই কিলোনোভা বিস্ফোরণকেই মহাশূন্যে বিরাজমান সোনার কারখানা বলা চলে। 








‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন